By Ahmed Shamim
ইসলামকে ঘিরে আছে শান্তির সমারোহ। এর মুল ধ্বনিত্রয় হল সিন লাম মীম- যার অর্থ শান্তি। এসলাম মানে শান্তির কাছে (নিজেকে) সমর্পন করা- যে তা করল সে মুসলমান, যার অর্থ শান্তিতে সমাহিত। ইসলামের এই ভাষা ও ভাবের মধুর মিলন নিঃসন্দেহে অন্তরে প্রশান্তি আনার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে অ-মুসলিমদের উপর ধারাবাহিকভাবে ঘটমান অত্যাচার অবিচার ওই বাণীগুলোকে কথার কথা বানিয়ে দিয়েছে। এর মূল কারণ, রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম ইসলামধর্ম-প্রতিশ্রুত শান্তির বিরোধী, এবং শ্রেষ্ঠত্বের দাবী নিয়ে কখনো শান্তি প্রতিষ্ঠান হয় না। শান্তির জন্য সাম্য লাগে, সমমমর্ীতা লাগে, গণতান্ত্রিক মানসিকতার দরকার পড়ে। বাংলাদেশে সেই সাম্য, সমমর্মীতা এবং গণতান্ত্রিকতার বড় অভাব। বাংলাদেশে গড় ক্ষমতার ভর করে আছে বাঙালি বিসমকামী মুসলিম পুরুষ পরিচয়ে, কারণ এই সমন্বয়ে আছে ‘শ্রেষ্ঠ জাতি, শ্রেষ্ঠ সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশন, শ্রেষ্ঠ ধর্ম, শ্রেষ্ঠ লিঙ্গ। এর উপর যদি ক্ষমতার রাজনীতির ও টাকার ক্ষমতার সংযোগ ঘটে তবে সেই সর্বশ্রেষ্ঠ লিঙ্গের উত্থান ঠেকায় কে? এক ঠেকাতে পারে রাষ্ট্র। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র পরিচালনা করেন- আওয়ামী-জাপা-জামাত-বিএনপি-বামপন্থী জোট- তাদের কারোরই ওই সাম্প্রদায়িকতা ঠেকানোর জন্য কার্যকরী কোনো এজেন্ডা নাই।
আওয়ামীলীগ-জাপা-জামাত-বিএনপি’র অস্তিত্ব নির্ভর করছে সেই উত্থানে- দেশের অকমিউনিস্ট বামপন্থী দল এবং কমিনিউনিস্ট নামধারী সুবিধাবাদী দলগুলো একবার আওয়ামী পরেরবার বিএনপি করে করে সেই লিঙ্গের উত্থানকেই সহায়তা করছে। অন্যদিকে বিপ্লবীদলগুলো গণতান্ত্রিক বিপ্লবকে একটা সুযোগ দিতে চায়। এই মহাযোগে মহাসমারোহে চলছে সংখ্যালঘু নিধন। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রামু, সাঁথিয়া, চর আইচাসহ প্রায় সব জায়গার ধ্বংসযজ্ঞগুলো জানলে দেখা যায়, সেসব যজ্ঞের যাজকেরা দলমত নির্বিশেষে বাঙালী মুসলমান বিসমকামী পুরুষ। এই পৌরুষ বিদ্যমান রাজনৈতিক ছাতার ছায়া যদি প্রথম নাও পায় (কথার কথা), ইসলাম আক্রান্ত- এই ধুয়া তুলে- একটা রাজনীতি খাড়া করে ফেলে- জাতীয় রাজনীতিকে সেই ছাতা ধরতে বাধ্য করতে পারে। ইতোমধ্যে এর সপক্ষে বহু প্রমান দাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে ফোবিয়া-ফিলিয়ার খেলা এখন অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে বিপজ্জনক। এমতাবস্থায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ ঠেকানোর জন্য রাষ্ট্রের কি করা দরকার? অনেকেই বলেন রাষ্ট্রের কাছে দাবী করে বসে থাকলে চলবে না, আমরা নাগরিকরা আমাদের বন্ধুদের রক্ষার নেমে পড়তে হবে। আমি বলব, এই সামাজিক আন্দোলনকে সাধুবাদ জানাই, তবে একটা কথা, আমাদের বন্ধুদের আমাদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য আমাদের সঙ্গে আমাদের এই বৌচি খেলা- আমাদের বন্ধুদের বৌ বানিয়ে!- এ খেলা আর কত দিন চলবে? বাংলাদেশে হিন্দুতো নাই হয়ে গেল প্রায়। ১৯৪১ সনে বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মালম্বীর সংখ্যা শতকরা ছিল ২৮, ১৯৫১-তে ২২, ১৯৬১-তে ১৮.৫, ১৯৭৪-এ ১৩.৫, ১৯৮১-তে ১২.১৩, ১৯৯১-তে ১১.৬২, ২০০১-এ ৯.৬। প্রতি দশ বছরে হিন্দুধর্মী লোকের সংখ্যা ৩.২৩% কমে যাচ্ছে। সেই হিসাবে ২০১১ সনে বাংলাদেশে প্রতি একশ জন নাগরিকের মধ্যে অন্তত ৬ থেকে ৭ জন হিন্দু ধর্মাবলম্বী পাওয়া যাওয়ার কথা। অবশ্য জাতীয় দৈনিকগুলোর হিসাবে হিন্দু কমে যাওয়ার হার গত দশ বছরে বাড়তির দিকে- এই হিসাব বিবেচনায় নিলে শতকরা ৫ জনে এসে পড়ার কথা এই সময়ে।
অর্থাৎ হিন্দু জনসংখ্যা একটি প্রশ্নবোধক সংখ্যা হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সাম্প্রদায়িক সংহিসতার গতিপ্রকৃতির মধ্যে এই প্রশ্নের উত্তর হয়তো পুরোটা পাওয়া যাবে না, তবু সেখান থেকেই শুরু করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক সংহিসতা জিনিসটা কী? হিন্দুদের উপর, জুম্ম জাতির উপর মুসলমানদের, বাঙালিদের সহিংসতা। এর মধ্যে পারস্পরিক ব্যাপার কই? (বাঙালি) মুসলিম সম্প্রদায় হিন্দু সম্প্রদায়কে সিস্টেম্যাটিকভাবে মেরেই যাচ্ছে। (মুসলমান) বাঙালি সম্প্রদায় মেরে যাচ্ছে জুম্ম সম্প্রদায়কে। এটি একটি বিষবৃক্ষই বটে। এখন প্রশ্ন এই বৃক্ষের গোড়া কোথায়? বাঙালি মুসলামানের রাষ্ট্র ব্যবস্থায়, নাকি হিন্দুদের হিন্দু হিসেবে ও জুম্মদের আদিবাসী হিসেবে নিজেদের অধিকার আদায়ের দাবীর মধ্যে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বিশ্বের ইতিহাস হাতড়ানো যেতেই পারে। গুণে হয়তো প্রশ্নটি অনুপম, কিন্তু লক্ষণে যেসব প্রশ্নের সঙ্গে মিল আছে তা খতিয়ে দেখায় দোষ দেখি না। কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে যাতে পুরোনো প্রশ্নের সমাধান হাতে আছে বলে নতুন একটি প্রশ্নকে যেই সমাধানের যোগ্য করে উপস্থাপন করা না হয়। বিশেষ করে ‘ইহুদি প্রশ্নে’র সঙ্গে যখন ‘হিন্দু প্রশ্ন’কে তুলনা করে সমাধান খুঁজতে চাওয়া হয়।
ইউরোপে ‘ইহুদি প্রশ্নে’র সমাধান একেক জন একেক ভাবে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন কয়েক শতাব্দী ধরে। সমস্যার গোড়া কে কোথায় পেয়েছেন সেই অনুসারে তাদের প্রস্তাবিত সমাধান ভিন্ন ভিন্ন হয়। মার্ক্সের বরাতে পাই, ব্রুনো বাওয়ার বলেছেন, জার্মানিতে কেউই মুক্ত নয়, আমরা যদি মুক্ত না হই তাইলে তোমাদের (ইহুদী বন্ধুরা) কীভাবে মুক্ত করব? তোমরা ইহুদী হিসেবে যদি বিশেষ মুক্তির দাবী কর তাহলে তোমরা ইগোইস্ট। জার্মান হিসেবে তোমাদের জার্মানির রাজনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে, মানুষ হিসেবে মানবের মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে; তোমাদের প্রতি এই বিশেষ নির্যাতন এবং লাঞ্ছনা নিয়মের ব্যতিক্রম আকারে নয় বরং নিয়মের নিশ্চিতকারী অংশ আকারেই অনুধাবন করা উচিত।… জার্মানরা কেন ইহুদীদের মুক্তির জন্য লড়বে, যদি ইহুদীরা জার্মানদের মুক্তির জন্য না-ই লড়ল?… খৃষ্টান রাষ্ট্রে ইহুদীদের মুক্ত হতে চাওয়া মানে এটা দাবী করা যে খৃষ্টানরা যাতে তাদের ধর্মীয় সংস্কার ত্যাগ করে। কিন্তু ইহুদীরা তাদের নিজেদের ধর্মীয় সংস্কার ত্যাগ করে কি? ইহুদীদরা যদি নিজেদের ধর্মীয় সংস্কার ত্যাগ না করে, তাইলে তারা কি করে চায় খৃষ্টানরা তাদের ধর্মীয় সংস্কার ত্যাগ করুক?… খৃষ্টান রাষ্ট্র ইহুদীদের প্রতি একমাত্র খৃষ্টান পথেই আচরণ করতে পারে, অর্থাৎ বিশেষ অধিকার দিয়ে, ইহুদীকে রাষ্ট্রের অন্যান্যদের থেকে অপর করে দেওয়ার মাধ্যমে, যেখানে ইহুদীরা অপরাপর (অ-ইহুদী) সামাজিক স্তরগুলোর চাপের তলে পড়বে, এবং এর মাধ্যমে ইহুদীদের ওপর ওই চাপগুলো (নির্যাতন) কঠোরতর হবে, কেননা তারা তাদের ধর্ম নিয়ে একটি ক্ষমতাধারীদের ধর্মের বিপরীতে আছে।…
এই যদি অবস্থা তাইলে ইহুদীদের মুক্তি আসবে কীসে? মার্ক্স বাওয়ারের সমাধান সংক্ষেপে তুলে ধরেন এভাবে- আমাদের আগে মুক্ত হইতে হবে তার পর অপরকে মুক্ত করা যাবে।… খৃষ্টান আর ইহুদীদের মধ্যে শক্ত সমস্যাটি হল ধর্মীয় সমস্যা। ধর্মীয় সমস্যা দূর করা যায় কী করে? ধর্মকে ত্যাগ করার মাধ্যমে। বাওয়ারের সমাধান বলে ইহুদীসহ সবাই ধর্ম ত্যাগ করার মধ্য দিয়ে নাগরিক মুক্তি লাভ করবে। মার্ক্স বাওয়ারের এই প্রশ্নের গঠন ও সমাধান নিয়ে সন্তুষ্ট হননি। তার প্রথম সমালোচনা হল- কে মুক্তি দিবে আর কে মুক্তি পাবে এরমধ্যেই প্রশ্নটি শেষ হয় না- তৃতীয় একটি পয়েন্ট এখানে গুরুত্বপূর্ণ- কী ধরণের মুক্তির কথা বলা হচ্ছে এখানে? মার্ক্সের আপত্তি হল, বাওয়ার সবসময় রাজনৈতিকভাবে ধর্মকে পরিত্যাগ করাকে মানুষের তরফে স্বয়ং ধর্মকে পরিত্যাগ করা অর্থে বুঝিয়েছেন। মানুষের রাজনৈতিক মুক্তি ও মানব মুক্তির সম্পর্ক বিষয়ে তদন্ত না করে, একতরফা এক ইহুদী প্রশ্ন তৈরি করেছেন। মার্ক্স মনে করেন, বাওয়ার যদি ইহুদীদের প্রশ্ন করে, তোমাদের স্ট্যান্ডপয়েন্ট থেকে, তোমাদের কি রাজনৈতিক মুক্তি চাওয়ার অধিকার আছে? তাহলে (প্রত্যুত্তরে) এই প্রশ্ন করা যায় যে রাজনৈতিক মুক্তির স্ট্যান্ডপয়েন্ট কি এমন অধিকার দেয় যার বলে ইহুদীদের কাছে দাবী করা যাবে তারা যেন ইহুদীবাদ ত্যাগ করে, মানুষের কাছে দাবী করা যাবে তারা যেন ধর্ম ত্যাগ করে? মার্ক্সের এই প্রশ্নটি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের প্রতি সুশীল সমাজের বাওয়ারবৎ দাবী- সেই দাবীর প্রেক্ষিতে বিবেচনা করা যেতে পারে।
সুশীল সমাজের একপক্ষের দাবী ব্রুনো বাওয়ারের মতই। বাওয়ারের মতো তারাও বলেন, হিন্দুকে আগে দেশের নাগরিকের মুক্তির দাবীতে শামিল হতে হবে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক মুক্তি না এলে হিন্দু বা জুম্মদের মুক্তি আসবে না, যেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানই মুক্ত নয়, সেখানে সংখ্যালঘুর মুক্তি সম্ভব কী করে হয়। নিজের সংখ্যালঘু ধর্মগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করার মাধ্যমে, সংখ্যাগুরুর আক্রমণ থেকে নিরাপত্তা চাওয়ার মাধ্যমে নাগরিক সমাজ থেকে তার নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। যেখানে মুসলমানের মুক্তির লড়াইয়ে তারা সংযুক্ত হয় না, মুসলমান কেন তাদের মুক্তির লড়াইয়ে নামবে! নারীমু্ক্তির ব্যাপারেও সুশীল সমাজের এই পক্ষটির একই রায়। পুরুষের মুক্তির জন্য যদি নারী না নামে, তাহলে পুরুষ কেন নারী মুক্তির লড়াইয়ে নামবে। এক্ষেত্রে, হিন্দু হিন্দু হিসেবে মার খেলেও তা নিয়মের মধ্যে ধরে নিয়ে সয়ে যেতে হবে, জুম্ম ও নারীকেও তাই করতে হবে। বিশেষ ব্যবস্থা চাওয়া যাবে না, চাইলে সন্দেহ করা হবে, হিন্দু রাজ্য, জুম্ম এবং নারীরাজ্য গঠনের পায়তারা চলছে। বাওয়ারকে তার এমত বিশ্লেষণের জন্য মার্ক্স কঠোর সমালোচনা করেছেন, অথচ দুঃখের বিষয় সুশীল সমাজের বামপন্থী ঘরণা থেকেই বাওয়ারবৎ বিশ্লেষণ আসছে।
অন্যপক্ষের কথা একটু অন্য রকম। এই পক্ষে আমি নিজেকে পাই। আমাদের মতে বাংলাদেশ (মার্ক্সের টার্ম ধার করে) একটি হিপক্রিট রাষ্ট্র। ধর্মের আছে জিরাফেও আছে। রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে সেকুলারকাংখী, গুড মুসলিম, মডারেট মুসলিম এসব মেডেলে তৃপ্ত রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রের রাজনৈতিক মুক্তির স্ট্যান্ডপয়েন্টে দাড়িয়ে সংখ্যালঘুদেরকে তাদের ধর্ম, জাতি, জেন্ডার ইত্যাদি পরিচয়ের রাজনীতিকে পরিত্যাগ করতে বলার অধিকার নাই কারো। ওইরূপ আব্দারের লেজিটিমেসি হাজির নাই। বরং এই রাষ্ট্রকে বাধ্য করা উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের বিশেষ যত্ম নেয়া এবং ভবিষ্যৎ ক্ষতির হাত থেকে তাদের রক্ষা করা। সংখ্যালঘুদের জন্য এফার্মেটিভ এ্যাকশানের ব্যবস্থা রাখা। এসব করে করেই সেকু্লার হতে হবে। রাজনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে কবে সেকুলার হবে রাষ্ট্র ততদিন আক্রমনকারী ও আক্রান্তরা বসে অপেক্ষা করবে না। নাগরিকের মুক্তির আন্দোলনে হিন্দুরা নাই কেন, জুম্মরা, নারীবাদীরা নাই কেন সে হিসাব করা যে স্ববিরোধিতা তা একটু খেয়ালে রাখা দরকার; নাগরিক অধিকারের লড়াইয়ে হিন্দুরা, জুম্মরা, নারীবাদীরা সাধারণ নাগরিক হিসেবে অংশগ্রহণ করে, তাই আপনার তাদের দেখতে পান না, এবং যখন তারা তাদের পাটাতন থেকে সংখ্যালঘুর, নারীর অধিকার আদায়ের লড়াই করে, সে লড়াইয়ে আপনার কেন যাবেন বলে গোস্যা দেখান। বাওয়ারও এই ভুল করেছিল। মার্ক্স যখন তাকে চোখে আঙুল দিয়ে সে ভুল ধরিয়ে দেয়, জবাবে বাওয়ার বলেছিল, মার্ক্স তাকে বুঝতে পারেনি। আসলেই বাঙালি মুসলমান বিসমকামী পুরুষের মন বোঝা বড় দায়। তারা সমাধিকার চায়, কিন্তু শ্রেষ্ঠত্বের দাবী ছাড়তে চায় না। বাঙালি হিসেবে জুম্মদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ, মুসমান হিসেবে হিন্দুদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ এবং পুরুষ হিসেবে নারীদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ- এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য আইন দরকার, যে আইন হিন্দুদের, জুম্মদের, নারীসহ সকল অশ্রেষ্ঠদেরকে শ্রেষ্ঠদের হাত থেকে সুরক্ষা দিবে। বাংলাদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক মুক্তি এলে, সেকুলার রাষ্ট্র হলে, তখন নাহয় সেই আইন তুলে নেওয়া যাবে।
Ahmed Shamim is an Adjunct Faculty Member at LaGuardia Community College/ISMD
Categories: বাংলাদেশে নারীবাদ
Leave a Reply