মারুফ বরকত
১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪
তোর হাতের ভাতমাখা বড় স্বাদ রে দিদি।
কোনদিন একটু খেতে বললি না!
তোর শাঁখাহীন হাতে বড় আদর ছিল, দিদি
মাথা আঁচড়ে দিবি বলে আমার চিবুক ধরতেই
শহরে উড়ে এলো সোনালি ঠোঁটের কাক
তুই কিন্তু নাটকের মেয়ে হলেও পারতি
উঁচু দালানের থেকে নিচে তাকান তোর প্রিয় খেলা ছিল হয়ত
বেলুনের দস্তানা তখনও আমাদের ফ্যাশন হয়নাই
আর ভালোবেসে পেট ফুলে গেলো তোর
সিমেণ্ট খেতে খারাপ না, সেই ছোট বেলায়ই বলেছিলাম,
আর তুই খেলি ছেলে ভরা পেটে,
হাভাতে রাক্ষুসি, রড খাবি ভালো কথা,
হাত-পা-বুক দিয়ে কেউ খায়? এফোঁড় ওফোঁড় করে?
কমলার খোসা দিয়ে কখনই নৌকা বানানো যায় না
আর তাই ভেসে যাচ্ছে দেখ।
রূপালী স্টুডিওতে তোলা ছবির সেট-বাড়িটা আমাদেরও হতে পারত
অমন সিঁড়ি আর ফুলের টব
সন্ধান চাই নোটিশে সেই ছবিটাই দিলাম
মা বলছিল, এই ছবিটাতে তোকে বড্ড ছোট দেখায়
আর আজ সকালে বৃষ্টির পর
শহরের খাটো খাটো মানুষেরা দেখল
তাদের চোখ খালি করে
আস্ত দালান কাকের পিঠে চেপে হাওয়া গেল
আর জলহীন কটা লাগা চোখে সবাই টিভি দেখে জানতে পারে
একটা জোয়ান ছেলের দাবি নিয়ে পাতাল ফুঁড়ে জেগে ওঠে
মায়াবতী দুই ডাইনি মা
আজ গোল করিস না হেই মায়েরা,
আমার দিদিরে তোদের ছেলের বৌ করবি?
আচ্ছা বল, ছেলে ভরা পেট কেন কলঙ্কের?
আর ভরা পেটে কেবল উড়াল দিতে চাইত দিদি
ওই দালানের ছাদ থেকে,
তোর পেটের ছেলের ভারে দালানটা ভেঙে পড়ল রে দিদি,
এতো ভার তোর না জন্মানো ছেলের?
শালী, কলঙ্কিনী দিদি আমার!
Categories: সংস্কৃতি-রাজনীতি
Leave a Reply