যে যুগে মেয়েরা বড় হবে
হাবিবা নওরোজ*
আমার স্কুল প্রিপারেটরিতে গত ৫ মে ১ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পরে। অভিভাবক পর্যায়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হলে তারা বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। একই সময় স্কুলের অন্যান্য যৌন নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ পেতে থাকে এবং ধর্ষণের ফলে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রী মারা যান বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে দাবি করতে থাকেন। অবশেষে আন্দোলনকারী অভিভাবকদের বেঁধে দেয়া সময় ১৬ মেতে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ এবং কর্তৃপক্ষ যেন স্পষ্ট বিবৃতি প্রদান করেন সেই দাবি জানানো হয়।
শনিবার সকাল দশটা নাগাদ স্কুলের সামনে পৌঁছে গেলাম সেদিন। দেখি “অভিভাবক নেতা” এলাকার কমিশনারকে সাথে নিয়ে সমাবেশ করছেন। একজন সমাবেশে বললেন এটা আমাদের মায়েদের নিরাপত্তার বিষয়, মায়েদের সুরক্ষার বিষয়, দরকার হলে তারা জাহাঙ্গীর কবির নানককে নিয়ে আসবেন আন্দোলনে! এক অভিভাবক মাইক হাতে নিয়ে “ফুলের মধু থাকলে ভ্রমর আসবে” এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানালেন। “অভিভাবক নেতা” তার কাছ থেকে মাইক নিয়ে বললেন যে ওটা “আগের” বিষয় এখনকার কথা বলতে! আমি চুপ করে ভাবছিলাম হতে পারে “আগের” বক্তব্য, হতে পারে কে বলেছে সেটা নিয়েও সন্দেহ আছে। কিন্তু যেই বলুক সেটা তদন্ত করার এবং এই নিকৃষ্ট পুরুষতান্ত্রিক বক্তব্যের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাইবার দায়িত্ব স্কুল কর্তৃপক্ষের। কোন ভাবেই তারা এটার দায় এড়াতে পারেনা। অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া দেখে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল তারা এটা মেনে নেয়নি এবং আগের কথা বলে ভুলেও যাননি।
আমি অভিভাবকদের সাথে কথা বলতে শুরু করলাম তাঁদের কথা জানতে। স্কুলের সামনে আমাদের সাবেক, বর্তমান ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মনব বন্ধনের প্রস্তুতি চলছে। একজন অভিভাবক আমাকে বললেন অভিযুক্ত গোপাল (সুইপার) বর্তমান কর্তৃপক্ষের অনেক দুর্নীতির সাক্ষী তাই তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। তাকে শাস্তি দিলে কর্তৃপক্ষের অনেক খবর ফাঁস হয়ে যাবে যেটা তারা চাননা, এসব কথাতো আমরা সামনে গিয়ে বলতে পারিনা তোমরা সাবেক ছাত্রী তোমরাই সামনে গিয়ে বল। আমি কিছু বলার আগেই ব্যানারের পেছনে দাঁড়ানো লিটন নন্দীকে প্রায় ঠেলে সরিয়ে আন্টি আমাকে দাঁড় করিয়ে বললেন তার কথাগুলো বলতে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে যে স্পষ্টই বিভাজন ছিল তা বোঝা গেল যখন অভিভাবকরা স্কুলের মাঠে জমায়েত হলেন। “অভিভাবক নেতা” সহ তার সহযোগীরা চেষ্টা করছিলেন ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীদের সামাল দিতে। মনে হচ্ছিল সহযোগীরাই “অভিভাবক নেতাকে” একরকম কোণঠাসা করে রেখেছে। একজন ক্ষুব্ধ মা কথা বলতে চাইলেন মাইকে কিন্তু কিছুতেই তারা মাইক আর কারো হাতে দেবেনা। কমিশনার কথা বলতে গেলে অভিভাবকরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করে, এক পর্যায়ে মাইক নিয়ে কাড়াকাড়ি শুরু হয় এবং মাইক বন্দ করে দেয়া হয়। আন্দোলনকারীদের শান্ত করতে একজন বলছিল তদন্ত রিপোর্ট দেয়া হবে, পঞ্চম শ্রেণীর ঘটনাটা গুজব! আমার পাশে দাঁড়ানো এক বাবা তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন “তদন্ত করার আগেই বলতেসে গুজব তাহলে এরা কী তদন্ত করবে বলেন?” আন্দোলনকারীরা যখন কোন ভাবেই তাঁদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারছিলনা একপর্যায়ে তারা দালাল দালাল বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। স্পষ্ট এবং স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলনকারী অভিভাবকদের দাবি দাওয়ার কোন প্রতিফলন ঘটাতে পারছিলনা ক্ষমতার সাথে আষ্টে পিষ্টে থাকা এই গোষ্ঠী। মায়েরা ছিলেন সবচাইতে ক্ষুব্ধ এবং সক্রিয় কিন্তু তাঁদের কথা অগ্রাহ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছিল বার বার।
বেলায়েত স্যার কোন স্পষ্ট বিবৃতি না দিয়ে যেতে পারবেননা এটা নিয়ে আমরা সবাই দৃড় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। আমরা অভিভাবকরা তাকে ঘেরাও দিয়ে রেখেছিলাম। এর মধ্যে কিছু ছাত্রী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রচারনা শুরু করে। তাঁদের শিক্ষকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে, মারা হয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুর্নাম করার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করতে থাকে। মাঠে দাঁড়ানো ছাত্রীদের একজন আমাকে প্রশ্ন করে আমি প্রিপারেটরীর কোন ব্যাচের ছাত্রী। আমি বিরক্ত হয়ে বলি ভুলে গেছি। আমার উত্তর শুনে তারা নিজেদের মধ্যে মুখ টিপে হাসতে শুরু করে করে, এরকম কিছুই আশা করছিলাম আমি। ক্ষুব্ধ হয়ে কী বলেছিলাম মনে নাই কিন্তু পরে ভীষণ অপরাধী লাগছিল নিজেকে, মনে হচ্ছিল আমার ছোট বোনও পড়ে এই স্কুলে ও যদি জানতে চাইতো এমন কি করতে পারতাম? ক্ষুব্ধ মায়েদের মব বেলায়েত স্যারকে নিয়ে কিছুটা শান্ত হয়ে আসলে মেয়েগুলোর কাছে গেলাম ক্ষমা চাইতে। ওরা আন্তরিকভাবে জানালো ওরাও মেয়ে এই কারণেই স্কুলের চিন্তা বাদ দিয়ে এসেছে প্রতিবাদ জানাতে, আমি বুঝলাম হয়তো প্রথমবারের মত নিজের চির চেনা গণ্ডিতে এমন পরিস্থিতি দেখে হকচকিয়ে গিয়েছে। অষ্টম শ্রেণীতে পড়া আমার বোন কাল আমাকে বলে ওদের ক্লাসের সবাই নীচে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিতে চাইছিল। শিক্ষকরা হেড গার্ল দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। কয়েকজন ছাত্রী অব্যাহতভাবে প্রচার করতে থাকলো পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া মেয়েটার ধর্ষণের খবর গুজব, আই সি ইউতে আছে, মারা গেছে সবই গুজব কারন ফেসবুক স্ট্যাটাস ছাড়া তার কোন প্রমান নেই, অভিযোগও নেই। একজনকে আমি জিজ্ঞেস করলাম ধর্ষণ যে হয়নি তার কি কোন প্রমান আছে? গুজব যে সেটাই তদন্ত করা হোক, স্কুলের দুর্নাম করতেই ছড়ানো হয়েছে সেটাই তদন্ত করে দেখা হোক কেন এমন করা হচ্ছে? মেয়েটা বলল আমি স্কুলের পক্ষে না, বিপক্ষেও না, মেয়েটার কথা শুনে কয়েক মুহূর্তের জন্য আমি নির্বাক তাকিয়ে থাকলাম ওর মুখের দিকে। আমার অবস্থানও তাই। প্রান পনে চাইছিলাম ও আর একটা লাইন বলুক, বলুক “আমি নারীর পক্ষে, আমার নির্যাতিত বোনের পক্ষে”।
টি এস সি তে কয়েকজন নারীর উপর হওয়া সংঘবদ্ধ যৌন নির্যাতনের ঘটনার পর এক আলোচনায় একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, যিনি মার্কিন নাগরিক এবং সেখানে হওয়া আন্দোলনের অভিজ্ঞতা তার আছে দাবি করেন, শ্বেতাঙ্গ মধ্যবিত্ত নারীবাদীদের সমালোচনা করেন। তিনি বললেন এরা কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষকে ধর্ষণের ক্ষেত্রে শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় বেশি সাজা দিতে বাধ্য করেছে। এমনভাবে তিনি এই যুক্তি উপস্থাপন করলেন যে মনে হোল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত নারীর ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন প্রমাণের ক্ষেত্রে যত ধরনের সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তা নিয়ে তিনি একেবারেই সচেতন নন। আমি উত্তর দেয়ায় তিনি বললেন বাংলাদেশে বর্ণবাদ বিষয়টা তেমন ভাবে নাই কিন্তু শ্রেণী প্রশ্ন আছে। এই যুক্তি আমি মানি। কিছু ঘটনা, অনুসন্ধান দিয়ে প্রমাণও করা যাবে মধ্যবিত্ত নারীর ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন হয়তো দুর্গম আইনি লড়াইতে অবশেষে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কয়জনের শাস্তি হয় তা দেখতে গেলে এ দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতির একটি লিঙ্গবাদী চরিত্র, শ্রেণী বৈষম্য সমেত উন্মোচিত হবে। কয়েকদিন আগেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তোলপাড় হচ্ছিল সৌদি আরবে পাঠানো গৃহ পরিচারিকার যৌন নির্যাতনের ভয়াবহ সব খবর দিয়ে। সে সময় সাধারন মানুষদের দেখেছি কোন রকম নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করে সরকারের গৃহ পরিচারিকা পাঠানোর বিরোধীতা করতে। “মূলধারার” নারী সংগঠনের কথা বাদই দিলাম, মূলত শ্রমিক রাজনীতি করা সংগঠনের একটা মিছিলও দেখিনি এই নারী শ্রমিকদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে। নারী ইস্যুতে কাজ করা রাজনৈতিক ব্যানারগুলো মধ্যবিত্ত নারীর যৌন নির্যাতন নিয়ে এমনভাবে কাজ করে তাতে মনে হয় যৌন সহিংসতা সহ অন্যান্য নারী নির্যাতন কেবলমাত্র মধ্যবিত্ত নারীর বাস্তবতা। এটাযে নির্যাতনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সকল শ্রেণীর নারীর সাথে সংহতি সৃষ্টির পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তা ভাবার সময় আর কয়জনের আছে? অনুমান করতে পারি এদের অনেকে কোন অনুসন্ধানের তোয়াক্কা না করে এটাও ভাবেন যে নিম্নবিত্ত নারী তার যৌন নির্যাতন নিয়ে খুব একটা ভাবিতও না! এই শ্রেণী প্রশ্ন আমার স্কুলের ক্ষেত্রে নতুন মাত্রায় হাজির হোল। অভিযুক্ত ধর্ষক দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই, ক্ষমতার প্রান্তে থাকা নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারী (সুইপার এবং ক্যান্টিনবয়)। তাঁদের শাস্তি দেয়াতে কোন রাজনৈতিক বাঁধা থাকার কথা নয় বলে আমরা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বিস্মিত হচ্ছিলাম। এক অভিযুক্ত কর্তৃপক্ষের দুর্নীতির সহযোগী বলে যে তথ্য পেলাম তাতে নতুন উপলব্ধি হোল। লুটেরা পুঁজিবাদীদের দেশে দুর্নীতির ভিত্তিতে হওয়া পুরুষে–পুরুষে যে সংহতি তা শ্রেণীর সীমাও মানেনা।
মারিয়া মীজ তার সময়ের ছাত্র আন্দোলনের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন ১৯২০ এবং ১৯৬০ এঁর মাঝামাঝি সময়ের নারীরা তাঁদের মায়েরা, দাদীরা যে আদর্শের জন্য সংগ্রাম করেছে তা পুরোপুরি ভুলে যায়। এই সময়ে নারী মুক্তি আন্দোলনের সাথে বামপন্থী আন্দোলনের ইতিহাস স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচী থেকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে বাদ দেয়া হয়। তাই ৬০এর দশকে যারা ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক অধিকার আন্দোলনে যোগ দেয় নারীর সমান মজুরী, সমান কাজ এবং শিশুর জন্য আরও বেশি ভালো পরিচর্যা কেন্দ্র, গর্ভপাত বৈধ করা এসব দাবি যে প্রায় অর্ধ শতক আগে তাঁদের পূর্ব নারীরা করে ফেলেছে সেই সত্য তাঁদের কাছে অবাক করার মত মনে হয়। মারিয়া মীজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি স্কুলের অল্পবয়েসী ছাত্রীদের অনেকেরই মনে হতে পারে আন্দোলনকারীরা শান্তি বিনষ্টকারী, সহিংস কিন্তু তাঁদের মনে রাখা উচিত আজ যে তারা স্কুলে পড়ছে সেটাও বহু মানুষের, বহু বছরের সংগ্রামের ফল যেটা তাঁদের একইভাবে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। পুরনোকে ধ্বংস না করলে নতুনের জন্য জায়গা হয়না। যে পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো নারীকে যৌন নির্যাতন করে তাকে ধ্বংস করেই নারী বান্ধব সমাজ সৃষ্টির দায়িত্ব সামনে তাদেরই হাতে।
মার্কিন নারীবাদী, সাংবাদিক সুজান ব্রাউনমিলারের অভিজ্ঞতা দিয়ে শেষ করতে চাই। তিনি নিতান্তই অনাগ্রহের জায়গা থেকে ধর্ষণ বিষয়ে একটি সম্মেলনের আয়োজন করেন। তিনি তাঁর বইয়ের ভূমিকায় তার উপলব্ধির কথা লিখেছেন “যেসব মানুষ, ধারনা, ঘটনার সাথে আমি নিজেকে মেলাতে পারতাম, ধর্ষণ সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলঃ নাগরিক অধিকার আন্দোলন, পক্ষ সমর্থনকারী উকিলের (ডিফেন্স লইয়ারের) ভাবোচ্ছ্বাস, এবং অভিযুক্তের প্রতি মানসিক সমবেদনা। আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গি পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন বোধ করিনি কারন আমি যে সব মানুষদের সন্মান করতাম তারা সেগুলো সমর্থন করতেন…… আমার কখনো মনেই হয়নি যে এই ধারনা নারীবিদ্বেষী হতে পারে। আমার এটাও মনে হয়নি যে এই ধারনা মেনে নেয়াটা আমাকে নিরাপত্তার অনুভূতি দিতঃ এটা(ধর্ষণ) এখানে ঘটতে পারেনা।” “নারীরা যারা তাঁদের নিপীড়িত অবস্থা বুঝতেন, যেখানে আমি কেবল এটাই বুঝতাম যে আমার সাথে এমন হয়নি– এবং এমন হতে পারে এই ধারনাটাও প্রতিরোধ করতাম। আমি বুঝেছিলাম ধর্ষণের হুমকি যে আমার জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে তা আমি একভাবে অস্বীকার করতে চাইতাম” “অবশেষে আমি আমার বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধ, আমার অতীত আর নিজের ভয়ের মুখোমুখি হলাম। খুবি গুরুত্তপূর্ণ, ভয়ানক ভাবনার একটা বিষয় আমার শিক্ষা পদ্ধতিতে অনুপস্থিত ছিল– যৌনতা, শক্তি এবং ক্ষমতায় নারী–পুরুষ সম্পর্ককে দেখবার দৃষ্টিভঙ্গি। কখনই যেখানে দুর্বলতা স্বীকার করতে চাইতামনা সেখানে আমি আমার নারীবাদী বোনদের দ্বারা বাধ্য হয়েছিলাম সরাসরি চোখের দিকে তাকাতে। আমি এই বইটা লিখেছি কারন আমি এক নারী যে ধর্ষণ বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি বদলেছি।“
তথ্যসুত্রঃ
১) SEARCH FOR A NEW VISION, Maria Mies
২) Against Our Will, Men Women And Rape, Susan Brownmiller
হাবিবা নওরোজ একজন আলোকচিত্রী
Categories: আন্দোলন বার্তা, যৌন নিপীড়ন ও প্রতিরোধ
Leave a Reply