ছাত্রীদের প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২

যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের ২৩ বছর
ছবি: ৮ই মার্চ পর্ষদ আর্কাইভ

ছবি: ৮ই মার্চ পর্ষদ আর্কাইভ

ছাত্রীদের প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২

সাদাফ নূরে ইসলাম

১৯৯২ সালের ৫ই অগাষ্ট
১৯৯২ সালে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা একই বাসে যাতায়াত করতেন। ঐ বছর ৫ই অগাষ্ট সন্ধে সাড়ে ছয়টার বাসে একজন ছাত্রী, একজন ছাত্রের দ্বারা যৌন হয়রানির শিকার হয়। বাসটিতে সেদিন ভীড় থাকায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীই দাঁড়িয়ে আসছিলো। কেউ কেউ গেটেও দাঁড়ানো ছিলো। প্রথম দিকের সিট গুলোতে বসা ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষিকা, ফ.ন হলের হাউস টিউটর তাহ্মিনা ফেরদৌস, অন্য দুইজন শিক্ষক (নাম জানা যায়নি); নৃবিজ্ঞান শেষ বর্ষের মির্জা তাসলিমা (নৃবিজ্ঞান শেষ বর্ষ) শাহীন আখতার (ইতিহাস শেষবর্ষ), ফারজানা ইয়াসমিন (নৃবিজ্ঞান শেষ বর্ষ)। ইঞ্জিন কভারে বসা ছিলো কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী যার মধ্যে ছিলো নাট্য ও নাট্যততত্ত্ব বিভাগের মমতা ইসলাম। গেটে দাঁড়ানো ছিলো সরকার ও রাজনীতি শেষ বর্ষের ছাত্র নাসির তার পাশে সিড়ির উপরে দাঁড়ানো ছিলো অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র জুয়েল। [অন্যান্য সকল ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তাদের কথাই কেবল উল্লেখ করা হল]।

নাসির নামের ছাত্রটি একটি পা সিড়ির নীচের ধাপে, আরেকটি পা উপরের ধাপে রেখে ডাবল সিটের সামনে রড ধরে দাড়িয়ে ছিলো। সবাই গল্প গুজব করছিলো। অন্ধকার হয়ে আসায় বাসের বাতিটি জ্বালানো ছিলো। এ সময় নাসিরের পাশে দাড়ানো জুয়েল খুব জড়ানো গলায় ড্রাইভারকে বাতি নিভাতে বলে এবং ড্রাইভারও সাথে সাথে বাতি নিভিয়ে দেয়। বাসটি সম্ভবতঃ হেমায়েতপুরের উপর দিয়ে যাচ্ছিলো। কিছুক্ষণ পর সামনে দাঁড়ানো একটি ছাত্রী চিৎকার করে উঠে এবং সাথে সাথে একটি চড়ের শব্দ পাওয়া যায়। ছাত্রীটি তখন গালাগাল করছে, কাঁদছে এবং চিৎকার করে বলছে, “আমার গায়ে হাত দিলো কেন।” সামনে বসা ছাত্র-ছাত্রীরা সাথে সাথে কিছু বুঝতে পারছিলোনা কি হয়েছে। সামনে দাঁড়ানো ছাত্রগুলো যারা হৈ চৈ করছিলো তারা চুপ হয়ে যায়। বাসের বাতি জ্বালাতে বলে কেউ একজন। চড়ের আওয়াজ শুনে বনেটে বসা ছাত্রগুলো উত্তেজিত হয়ে বলে- ‘কে মারলো, কাকে মারলে’। এ সময় ছাত্রীটি অনবরত কাঁদছিলো আর বলছিলো, ‘কেউ কিছু বলছেন না কেন? আমার গায়ে হাত দিলো কেন?’ সেই মুহূর্তে কেউ কিছু বলেনি। এমন কি শিক্ষকরাও নয়। সামনে বসা মমতা ইসলাম (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব) উঠে ছাত্রীটিকে বসতে দেয় ও সম্পূর্ণ ব্যপারটি জানতে চায়। গেটে দাঁড়ানো ছাত্রটিকে তারা সনাক্ত করে। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, ছাত্রটিকে ছাত্রীটি চড় দেয়াতে সে কিছুই বলেনি। কোন প্রতিবাদ করেনি। এর মধ্যে বাস মীর মোশাররফ হল দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে ছাত্রগুলো নেমে যায়। যদিও উপস্থিত একজন এম ফিলের ছাত্রী (পরিচয় জানা যায়নি) জানান এই ছাত্রদের তিনি চেনেন এবং তারা মীর মোশাররফ হলের ছাত্র নয়। চৌরঙ্গীতে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের ছাত্রীরা নেমে পড়ে, ছাত্রীটি ঐ হলের হওয়ায় সেও নামে। এসময় তারা বাসে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। সবার সামনে একটি ছাত্র এধরনের আচারণ করলো অথচ কেউ কিছু বললো না, ছাত্রীটি প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও, সকলেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া করতে থাকে যত্রতত্র মেয়েরা এ ধরনের যৌন উপদ্রবের শিকার হয় কখনো কেউ প্রতিবাদ করতে পারে না বা ব্যাপারটি এমন দাঁড়িয়ে গেছে প্রতিবাদ করাটা লজ্জার, দোষের। তাই প্রতিবাদ না করাটা স্বাভাবিক ঘটনায় পরিনত হয়েছে। কারো কারো মনে হয়েছিলো অন্ততঃ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে এ ধরনের যৌন উপদ্রব ঘটেনা। অন্যরা জানায় এমন ঘটে কিন্তু লজ্জাবশতঃ আমাদের সামাজিক মতাদর্শের কারণে কেউ প্রকাশ করে না। তখনই তারা সিদ্ধান্ত নেয়, এই ঘটনার জোর প্রতিবাদ জানানো উচিত এবং যথাযোগ্য শাস্তির দাবী জানাবে তারা। নতুবা ছাত্রটি আবার ক্যাম্পাসে নিঃসঙ্কোচে ঘুরে বেড়াবে একই ধরনের আচরণ অন্য ছাত্রীর সাথে করবে। এধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চলতে থাকবে।

ফয়জুন্নেসা হলের ছাত্রীরা হলে ফিরে ছাত্রী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শোভার (¯œাতকোত্তর, বাংলা) কাছে ঘটনাটি খুলে বলে ও তাদের সিদ্ধান্ত জানায়। প্রথমেই তিনি বলে, এতে করে প্রশাসন সন্ধ্যার বাস বন্ধ করে দিবে। তাছাড়াও ছাত্রীটির একটি ভবিষ্যত আছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে ছাত্রীটির জন্যই অসম্মানজনক, তার বিয়ে হবেনা ইত্যাদি বলে তাদের নিবৃত করতে চান। কিন্তু ছাত্রীরা বেঝায় এ ঘটনার প্রতিবাদ না করলে এর পুনরাবৃত্তি ঘটতেই থাকবে। তবে তারা এ সিদ্ধান্ত নেয় যে, কোন ভাবেই তারা ছাত্রীটির নাম প্রকাশ করবে না। তার গোপনীয়তা রক্ষা করা হবে। ফলে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন ছাত্রী বাদে আর কেউ ছাত্রীটির নাম জানতো না। হলের ছাত্রীরাও ছাত্রীটির পরিচয় নিয়ে তেমন কৌগুহলী ছিলোনা। যদি কেউ ছাত্রীটির পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করতো ছাত্রীরা প্রত্যেকে নিজের কথাই বলতো। এটি ছিলো ছাত্রীটির পরিচয় গোপনে তাদের কৌশলে। অনেকের অনেকদিনের চাপা ক্ষোপের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে। ফলে সবাই অতি দ্রুত একত্রিত হয়ে যায় তখনই। যে যেভাবে ছিলো, সেভাবেই তখনই মিছিল করে উপাচার্যের বাসার দিকে রওয়ানা হয়। এমনকি ছাত্রীটিও সেই মিছিলে অংশ গ্রহন করে। আন্দোলন না করার বা বিচার না চাইবার কথা সে একবারও বলেনি সেই মুহূর্তে। এত দ্রুত তারা সংগঠিত হয় যে মিছিলের স্লোগানও সে মুহূর্তে তারা ঠিক করতে পারেনি। এর মধ্যে টেলিফোনের মাধ্যমে ফজিলাতুননেসা হলের ছাত্রীদের তারা ফোন করে জানিয়ে দেয়। বিচ্ছিন্ন ভাবে ছাত্ররাও খবর পেয়ে যায়। ফ.ন হলের ছাত্রীরাও মিছিল নিয়ে এসে ন.ফ হলের ছাত্রীদের সাথে যোগ দেয়। প্রায় ন’টার দিকে তারা মিছিল করে উপাচার্যের বাসার সামনে জড়ো হয়। জাকসুর ভিপি লিটন (¯œাতকোত্তর, পরিসংখ্যান) এসে শোভাকে তিরষ্কার করে তাদের না জানিয়ে মিছিল করার জন্য। ছাত্রীদের মধ্যে তখন তুমুল উত্তেজনা। কয়েকজন ছাত্রী মিলে উপাচার্যের নিকট তখনই স্মারক লিপি লিখতে শুরু করে। তাতে তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়। কেউ কেউ কিছু আবেগ প্রবণ শাস্তির কথা বলে, যেমন সুপারীতলায় বেঁধে জুতাপেটো করা হোক। এসব ঘটনার পাশাপাশি ছাত্রীটির কাছে অন্যান্য ছাত্রীরা ছাত্রটি সম্বন্ধে নিশ্চিত হয়ে নিচ্ছিলো। কারণ ছাত্রীটি চিনতে ভুল করলে নিরাপরাধ ছাত্রের শাস্তি হয়ে যেতে পারে। ঘটনাটি ঘটবার সময় ছাত্র অর্থাৎ নাসিরই সবচেয়ে কাছে ছিলো আর কেউ ছিলো না। ্তাছাড়া চড় দেওয়ার পরও সে কোন প্রতিবাদ করেনি। এ থেকেও অন্যান্যরা নিশ্চিত হয়ে যায়। উপাচার্য তাদের বক্তব্য শোনেন ও দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠনের নিশ্চয়তা দেন। এ সময় উপাচার্য ছিলেন কাজী সালেহ্ আহ্মেদ। ছাত্রীরা দ্রুত বিচারের দাবী জানায়।

১৯৯২ সালের ৬ই অগাষ্ট
এরপর দিন ৬ই অগাষ্ট ১৯৯২, ক্যাম্পাসে ছাত্রী আন্দোলনের স্ম^রণীয় মিছিলটি হয়। এটি ছিলো প্রথম নারী ইস্যু নিয়ে কোন মিছিল যাতে কোন তথাকথিত রাজনৈতিক ব্যনার ছিলো না। ক্যাম্পাসের প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ ছাত্রী (তথ্য দাতাদের মতে) এতে অংশ নেয়। এমনকি ছাত্ররাও স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে মিছিলে অংশ গ্রহণ করে। যদিও এমনও অনেেেক ছিলো যারা এই আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন রসিকতা করেছে। তখন ক্যাম্পাসে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে ছাত্রদল সক্রিয় ছিলো। তারা প্রথমদিকে আন্দোলনটিকে থামাতে চেষ্টা করে। কারণ ছাত্রটি ছাত্রলীগের সদস্য ছিলো বলে যানা যায়। অন্যারা গুটি কয়েক ছেলে যারা নাসিরের পাশে ছিলো তারাও আন্দোলনটি যাতে থেমে যায় তা চেয়েছিল। তারা নাসিরকে নির্দোষ প্রমাণ করতে চায়। ঘটনাটির নানা ধরনের ব্যাখ্যা তারা দিতে থাকে। যেমন, ‘মেয়েটি উচ্ছৃংখল পোষাক পড়তো’ ‘এধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো মেয়েটির উচিত হয়নি, এটি মেয়েটির জন্য লজ্জা জনক। মেয়েটি ক্যালাস প্রকৃতির ছিলো’। এভাবে বিভিন্ন ভাবে তারা পুরুষতান্ত্রিক মতামত প্রদান করে। এমনকি অনেক শিক্ষকও বলেছেন, “মেয়েরা আজকাল কেমন হয়ে গেছে”। “কি দরকার এত রাতে বাসে ফেরার,” “খুব অল্প সংখ্যক হলেও নাসিরের পক্ষবলম্বী ছাত্ররা দেয়ালে দেয়ালে লিখে, “এক নাসিরের শাস্তি হলে আমরা সবাই নাসির হব।” তবে প্রবল প্রতিবাদে তাদের কার্যকলাপ টিকতে পারেনি। ছাত্রীরা অবস্থান ধর্মঘট করে। তারা ছাত্রটির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। অনার্সের সার্টিফিকেট বাতিল করার দাবী জানায়।

প্রথম দিনের মিছিলে ছাত্র সংগঠনের শীর্ষ স্থানীয় কোন নেতারা যোগ দেয়নি। অনেক ছাত্র স্বতঃর্স্ফুতভাবে যোগ দিলেও অনেক ছাত্রীরা তাদের সহপাঠীদের বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে মিছিলে আসার অনুরোধ করে। ছাত্রদলের মেয়েরা পরবর্তী পর্যায়ে মিছিলের সম্মুখভাগ হতে সরে আসে। আন্দোলনের মধ্য পর্যায়ে কোন কোন ছাত্রী ছাত্রীটিকে আন্দোলন হতে সরে দাঁড়াবার জন্য বোঝাতে শুরু করে। ছাত্রীটি খুব চুপচাপ ও শান্ত প্রকৃতির হলেও আন্দোলনের ব্যপারে কখনো নমনীয় হয়নি। তবে আন্দোলনটিতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের এত সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ ছিলো, তখন ছাত্রীটির পক্ষে আন্দোলন ত্যাগ করা সম্ভব ছিলো না। তবে বেশ কয়েকদিন সে ক্লাসে যায়নি। ঘটনার প্রাথমিক আঘাত সামলাতে তার কয়েকদিন সময় লাগে। নাসির ঘটনার পরেরদিন ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। সে আর প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেনি। এমনকি তার ও জুয়েলের নামে ‘কারণ দর্শাও’ নোটিশের জবাবে আতœপক্ষ সমর্থন করতেও আসেনি। পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ কাঞ্চন চৌধুরী, ভুগোল বিভাগের মীর্জা মফিজ, সুভাস দাস এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের গোলাম হোসেনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সাক্ষী হিসেবে মমতা ইসলাম (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), মির্জা তাসলিমা (নৃবিজ্ঞান), ফারজানা ইয়াসমিনের( নৃবিজ্ঞান) ও শাহীন আখতার (ইতিহাস) সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তারা ছাত্রীটিকে সাক্ষ্য দেবার জন্য রেজিষ্টার বিল্ডিং এ আসতে বলেন। কিন্তু ছাত্রীদের চাপে হলে গিয়ে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়, গোপনীয়তা রক্ষার জন্য।

২৯শে অগাষ্ট ১৯৯২
২৯শে অগাষ্ট ১৯৯২ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা কমিটি নাসিরকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার আদেশ দেয় ও জুয়েলকে সহায়তা করার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমান করা হয়। প্রথমে শৃংখলা কমিটি এক বৎসরের জন্য বহিষ্কার আদেশ দেয়। কিন্তু সিন্ডিকেটে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক কাজে জড়িত নন এই পর্যায়ের সদস্যরা শৃংখলা কমিটির এই বহিষ্কারাদেশ লঘু শাস্তি অভিহিত করে দুই বৎসরের জন্য বহিস্কার করেন। আন্দোলন নিয়ে অনেক ছাত্র রসিকতা করে বলতো, “নাসির ধরা পড়ে অন্য ছেলেদের পথ বন্ধ করে দিল”। এ সময় ছেলেরা বাসে সামনের দরজা দিয়ে উঠতো না। কেউ একটু বেশী সামনে চলে গেলে, অন্য ছেলেরা বলতো, ‘বেশী সামনে যাসনা, আমাদের আবার ‘নাসির’ বানিয়ে ফেলবে। তখন সন্ধ্যার পর সাধারণতঃ ছাত্রীরা বাসে উঠতো না। তাই সন্ধ্যার আগে বিকল্প বাসের ব্যবস্থা ছিলো।

এই আন্দোলনটিকে সফল আন্দোলন বলে থাকেন অনেকেই এই পরিপ্রেক্ষিতে যে, ছাত্রীরা যে দাবীতে আন্দোলন করেছিলো, সেই দাবী পূরণ হয়েছিলো। পরবর্তী দুইটি আন্দোলনের ক্ষেত্রে যা ঘটেনি। এই আন্দোলনে ছাত্রীদের দাবীতে ছাত্রটির বিচার হয়। তবে এই আন্দোলনের ফলে বাসে ছাত্রীদের সকল যৌন উপদ্রব বন্ধ হয়ে গেছে তা বলা যাবে না। তবুও ক্যাম্পাসে সফল আন্দোলন হিসেবে এর সুস্পষ্ট প্রভাব রয়েছে।

[সাদাফ নূরে ইসলামের এই লেখাটি তার স্নাতক সম্মান (৩য় পর্ব) গবেষণা প্রতিবেদন, ”জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরুষাধিপত্য: ১৯৯৩ সালের সূর্যাস্ত আইন বাতিল-এর ছাত্রী আন্দোলন: ছাত্রীদের প্রতিরোধ ও প্রতিবাদ”-এর বাছাইকৃত অংশ। বাংলাদেশে যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলনের ইতিহাস অনুসন্ধানে গবেষণা কাজটির গুরুত্ব বিবেচনা করে লেখাটি আমরা ঠোটকাটা পাঠকদের জন্য হাজির করলাম।]



Categories: আন্দোলন বার্তা, বাংলাদেশে নারীবাদ, যৌন নিপীড়ন ও প্রতিরোধ

Tags: , ,

2 replies

Trackbacks

  1. ঠোঁটকাটা আলাপ: যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন ও র‌্যাডিকাল শিক্ষকতা |
  2. ঠোঁটকাটা আলাপ: যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন, ৮ই মার্চ পর্ষদ ও র‌্যাডিকাল শিক্ষকতা |

Leave a Reply

Please log in using one of these methods to post your comment:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

%d bloggers like this: