যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের ২৩ বছর
ঠোঁটকাটার সাথে শামীমা বিনতে রহমানের কথোপকথন পর্ব-২

যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ মঞ্চের প্রথম কনভেমনশন এর মিছিলের শুরুটা। স্থান টিএসসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: ৮ মার্চ পর্ষদ আর্কাইভ
নাসরিন: আমি এবারে কথা বলতে চাই যৌন সুখ ও যৌন সহিংসতা বিষয় নিয়ে। তোমার কি মনে হয় না যৌন নিপীড়ন অপরাধটি নিয়ে কথাবার্তা চালাতে গেলে প্রতিপক্ষ লোকজন মানুষের যৌন আচরন কেমন হওয়া উচিত সেটা নিয়ে একটি কর্তৃত্ব ফলানো মূলক প্রক্রিয়া, আলাপ শুরু করে? যৌন হয়রানি, ধর্ষণের মত যৌন নিপীড়নে প্রকৃত অপরাধী কে সেটা নির্ধারনে যৌন মতাদর্শ কিন্তু একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি লক্ষ্য করেছি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলনের সময়, এমনকি ১৯৯৮-এর ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলাকালেও, যৌন নিপীড়ককে রক্ষা করতে প্রশাসকদের পক্ষ থেকে যে ধরণের বক্তব্য পাওয়া যায় তার কয়েকটা সাধারণ ধরণ আছে।
যেমন, দুজন মানুষের সম্মতিতে করা যৌনকর্ম আর একজনের দ্বারা অন্যজনের ওপর যৌন আক্রমন এই পার্থক্যটা করতে না পারা। যেমন: ৯৮-এর ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময়ে একটি ক্লাশরুমে, তার শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনাকালে বাংলা বিভাগের কোন এক শিক্ষক উত্থাপন করেন, “ চিনি তো মিষ্টিই সেটা জোর করে খাওয়ালেও মিষ্টিই লাগবে” । তার উদ্দেশ্য ছিল ধর্ষণের মত একটা সহিংসতাকে লঘু করে উপস্থাপন করা। ধর্ষণকে ধর্ষিত উপভোগ করে থাকে এরকম মতাদর্শ কিন্তু সাহিত্যে লক্ষ্য করা যায়, বিশ্বব্যপী। দিনে পর দিন ধর্ষিত হতে হতে ধর্ষণকেই যৌন আচরণের স্বাভাবিক রূপ বলে মেনে নেয়ার বাস্তবতা সমাজে বিরাজ করে সেটাও কিন্তু সত্য। এমন ঘটনাও মানব সমাজে ঘটে থাকে যে ধর্ষণকারীর সাথে ধর্ষিত’র প্রেম হয়ে, বিয়ে হয়, বাচ্চা হয়, সংসার হয়। কিন্তু প্রত্যেকটি ঘটনা ও মানুষকে স্বতন্ত্রভাবেই বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে নারী যখন নিজে বিষয়টিকে ক্রিমিনাল একটিভিটি বলে অভিযোগ করছে। কিন্তু ধর্ষণ ও যৌনসুখকে এক করে দেখার অদ্ভুত এই মতাদর্শে বিশ্বাসী লোকজনের কাছে নারীর ওপর যৌন আগ্রাসন কিছুতেই যেন অপরাধের মর্যাদা পায় না। নিজেরা ধর্ষণকারী/যৌননিপীড়নকারী না হয়েও কি যেন এক আত্মীয়তা বোধ করে নিপীড়নকারীর সাথে। সেই আত্মীয়তার প্রমাণ দিতে তারা সবচেয়ে বেশী টেনে আনে প্রকৃতিকে। মানুষ যে প্রতিনিয়ত সমাজ-সংস্কৃতি নির্মাণ করে, রূপান্তর করে সেটা তখন আর তাদের মনেই থাকেনা। তাদের প্রকৃতি হয় স্থবির, নয় অপরিবর্তনশীল যেটা মনে করে পুরুষ মানে কামের মত একটি রিপুর কাছে সম্পূর্ণ পরাজিত, পশুরও অধম এক জীব আর নারী শুধুমাত্র পুরুষের যৌন উত্তেজনা আর সুখ সরবরাহের বা সন্তান ধারনের একটা শরীর মাত্র। এসব আলাপচারিতা, এই মতাদর্শ সমকাম/সমপ্রেমকেও কিন্তু সুস্থ/স্বাভাবিক মানবিক আচরণ বলে বিবেচনা করে না। কি বলো তুমি?
শাবির: তোমার প্রশ্নের চাইতে তোমার উপলব্ধিতে এই বাংলাদেশে, এই সময়ে সক্রিয় থাকা সমাজে যৌন মতাদর্শটাই প্রথমে নোটিস করতে চাই। যেহেতু আমাদের সময় একই, আমাদের উপলব্ধি সঙ্গত কারনেই কাছাকাছি বা একটা ব্রিজ আছে উপলব্দি এক্সচেইঞ্জের। কিন্তু আমি প্রশ্নটা এইভাবে তুলতে চাই, নারীর সেক্সুয়াল প্লেজারের স্বীকৃতি নাই কেন? উচ্চকিত স্বরে আলাপ চলে না কেন? সাব-টেক্সট কেন মূলধারায় “নেইমলেস ফেইসলেস”?
সোসাইটির মেইন টেক্সট হৈতেসে, এইটা একটা বন্ধ টানেল। এইখানে সেক্সে নারী বিছানায় শোয় খালি, শোয়ায় না। ও খালি বিলায় দেয়, পুরুষের শরীরের তলায় থাইকা, ওর অরগাজম হয় না বা ও বোঝে না। সেক্সে নারী শুধু রিসিভার। অথচ, সাব টেক্সট হৈল, এই সোসাইটিরই-আমার পুরুষ বন্ধুরা, বেশিরভাগই তাদের প্রেমিকার সাথে সেক্সে প্রেমিকার এনজয়মেন্টকে দেখছে, তার উদ্দামতা, সেক্স উপভোগ করা দেখছে, সক্রিয় ভূমিকায় থাকা অভিজ্ঞতায় নিসে। আমি বেশিরভাগকেই বলতে শুনসি, প্রথম দিককার সেক্স এক্সপেরিয়েন্সে নারী পার্টনার নার্ভাসনেস ওভারকাম করতে কতটা উদ্যোগি ভূমিকা পালন করসে! কিন্তু এইসব সাব টেক্সট। এইসব এই ভূগোলকীয় সীমারেখার বাসিন্দা পুরুষদের অভিজ্ঞতায় আছে। কিন্তু নারীর প্লেজারকে স্বীকৃতি দিয়া উচ্চারণ করাই যেন যাবতীয় সমস্যা। তাই সোসাইটির মাস্টাররা নারীর যৌনতা উদযাপনকে মেইন টেক্সটে আনে না বা রাখে নাই। এইরকম মেইন টেক্সটের মুখে সাবটেক্সটের প্রশ্ন বলা যায় ১৯৯৮ সালের ধর্ষন বিরোধী আন্দোলন।এই আন্দোলনের প্রথম মিছিলে, তখনকার ভারপ্রাপ্ত ভিসি আজিজুল হক ভুঞা রেজিস্টার বিল্ডিংয়ের নিচে মিছিল নিয়ে আসা মেয়েদের বিশাল গ্যাদারিং এবং পাশে জমে থাকা ধর্ষনের অভিযোগে অভিযুক্ত মানিকসহ ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ঘাপটি অবস্থানকে সামনে রেখে প্রশ্ন করলেন, “কে ধর্ষিত হয়েছে? কে?” সোসাইটির মেইন টেক্সেটের শিক্ষায় শিক্ষিত এবং যাপিত জীবনধারী ভিসি আমাদের বিব্রত এবং অপমান করে থামায় দেয়ার জন্যই ওইভাবে প্রশ্ন করসিল। এবং আমরা সামনে থাকা বিভিন্ন কর্নার থেকে কয়েকজন এক সাথে চিৎকার করে বলসিলাম, “আমরা সবাই ধর্ষিত”। এইটা আমি বলবো, আমাদের ওই উচ্চারণে ওই দিনই আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছিলাম আমাদের অ্যাটিটিউড। সেই অ্যাটিটিউড হৈল, কে ধর্ষিতা বলে ভিসির প্রশ্ন সামাজিক এই মেইন টেক্সট, যে, আমাদের ‘শরমে মুখ বন্ধ করে ফেলার’ উদ্যোগ নিসিল; আমাদের সেই উদ্যোগকে ভোঁতা করা জবাবে দুইটা বিষয় ছিল ১. ধর্ষণে লজ্জা পাওয়ার কিছু নাই, কারণ ওইটা অপরাধ।২. আমি কে বিষয় না, অপরাধীর বিচার কর।
প্রথম দিনের প্রথম মিছিলে ভিসির এরকম একটা জবাব খাওয়া বিশেষ করে মেয়েদের কাছ থেকে নির্ধারণ করে দিসিল যে প্রচলিত ব্রিটিশ প্রণীত অপরাধ আইন বা সিআরপিসি (কোড অফ ক্রিমিনাল প্রসিডিউর) বাদ দিয়ে স্বায়ত্ব শাসিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব আইনে ধর্ষক ছাত্র মানিকসহ অন্যদের বিচার প্রক্রিয়ায় যেতে হবে।
এই অ্যাটিটিউডটাও সাব টেক্সট।
সাব-টেক্সট বলতে আমি বুঝাচ্ছি, যে বিষয়টার জোরালো উপস্থিতি এবং ক্রিয়া বর্তমান সমাজে কার্যকর আছে এবং সমাজ সেটাকে অবস্তুগত উপকরণের মাধ্যমে দমিয়ে রাখে, যেন সরাসরি, স্বাভাবিক আলাপ-পরিসরে উচ্চারিত না। অর্থাৎ ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটায়ে জোর করে ঘটমান বাস্তবতাকে অস্বীকার করা, মানে ডিনাই করা।
এই সমাজে একটা মেয়ে বিয়ে না করে একটা ছেলের সাথে দিন-রাত যাপন করে। বিয়ে করার পরও আবার অন্য আরেক পুরুষের সাথে সেক্স করসে। এখন মেইন টেক্সট বলতেসে, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক অবৈধ। খারাপ।এই ধরনের সম্পর্ক সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ বলে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়, প্রিন্ট এবং অনলাইন সংবাদ পত্রে পরিবেশিত হয়। এমন যেন এই দেশে সাবেক বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সহ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ, আমলা, আইনজীবী, সেনা প্রধান ও কর্মকর্তাগণ অবৈধ সম্পর্ক জীবনেও যাপন করেন নাই যেহেতু তারা ভোট পেয়ে বা ভোট পাওয়াঅলাদের দ্বারা ক্ষমতায়িত। মানে যেহেতু তারা রোল মডেল। মানে যেহেতু তারা দৃশ্যমান ক্ষমতার ফ্রেমে। আর যখন তাদের অবৈধ সম্পর্কের খবর ফাঁস হয়ে পড়ে, তখন আমরা তাদের অপরাধী হিসাবে দেখতে পাই না, দেখতে পাই ক্ষমতাধর হিসাবে, যে, ক্যামন করে ক্ষমতার ব্যবহার করে অপরাধী থেকে “সাদা মনের মানুষ” হয়ে যান। তারাই নীতি নির্ধারক। মেইন টেক্সট রচয়িতা। ফলে সমাজে মনোগ্যামাসের ভূত ছাড়াও যে পলিগ্যামাস স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে জোরালো অবস্থান নিয়ে আছে, সেইটা শেডি বা অস্বচ্ছ রূপে অবস্থান করে।
এই দৃষ্টিভঙ্গীতে ওড়না না পরা মেয়ে ছেলেদের “খারাপ কাজে” ইনভাইট করে।
এই দৃষ্টিভঙ্গীতে রাস্তায় রাতে একা হাঁটা বা রেস্টুরেন্টে যাওয়া মেয়ে মানেই যৌনকর্মী
এই দৃষ্টিভঙ্গীতে বেশি ছেলে বন্ধু থাকা মানে ফ্রি সেক্স করে বেড়ানো মেয়ে
এই দৃষ্টিভঙ্গীতে মেয়ে আগে প্রেম প্রপোজ করলে, সে সহজলভ্য। মানে তার সাথে সেক্স করা সহজ।
এই দৃষ্টিভঙ্গীতে রাস্তায় চলন্ত বা বসে বা খাড়ায়া থাকা পুরুষের পুং অঙ্গ জাগ্রত ও প্রসারিত হওয়ার জন্যও নারী দায়ী, কারণ সে এমনভাবে শাড়ি পড়সে বা জিন্স আর টপস পড়ছে বা সালোয়ার-কামিজের সাথের ওড়নাটা এমনভাবে রাখসে যে ওইটা দেখেই তড়াক করে পুং অঙ্গ জাইগা উঠলো যে পুরুষের কোন দায় নাই। সব নারীর দোষ।
মানে নারী একটা সেক্সচুয়াল প্রাণী যে খালি পুরুষের কাম দন্ডকে জাগ্রত করার ভূমিকাই পালন করে, ধর্মগ্রন্থে ইভ বা হাওয়া যেরকম রিপ্রেজেন্টেশন।
নারীর জন্যই পুরুষ রাগ করে স্ত্রী রূপক নারীকে পিটায়, গালাগালি করে। নারীর জন্যই স্বামী পুরুষ অন্য নারীর সঙ্গে প্রেম করে, কারণ স্ত্রী নারী তাকে আটকায়া রাখতে ব্যর্থ। নারীর জন্যই পুরুষ নারীকে ধর্ষন করে, বাসে, মাইক্রোবাসে, নৌকায়, ঝোপে, বাথরুমের পিছনে, ঘরে, পাহাড়ে-সবখানে; কারণ নারী শরীরের কোন না কোন অংশ দ্বারা বা ওই অংশের উপস্থিতি ও অবস্থান তার শরীরে আছে বলেই পুরুষ ধর্ষনে উদ্বুদ্ধ হৈসে।
আসলে তুমি আমি একই নোশনে কথা বলসি প্রায়। বলা যায় একই ঘরে, আলাদা আলাদা স্বর।
সেক্সুয়াল প্লেজার বা যৌনতার আনন্দ তো শুধু বড়লোক, সামর্থ্যবান বা লিবারেটেরিয়ান নারীর ইস্যু না। এইটা আসলে ইস্যু না, স্বাভাবিক প্রবৃত্তির কথা। সহজাত স্বাভাবিক প্রবৃত্তি যেইটা গরীব নারী, মধ্যবিত্ত, ধনী নারী, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে জীবন ঝুঁকি নিয়ে অবৈধভাবে সীমানা পাড়ি দেয়া নতুন জীবন খোঁজা নারী, সবাই-ই অভিজ্ঞতা করেন।এইটা সহজাত প্রবৃত্তি।
হয়তো বিষয়টা ছোট, হয়তো কিছু মানুষ বলবেন, কিছু অনুভূতি আছে উচ্চারণ না করে মনে রাখাই আরাম, হয়তো কেউ বলবেন, সেক্সুয়াল প্লেজারের কথা বলা নারীরা তো বেশ্যা। কিন্তু সত্যি বলি, এই ছোট্ট বিষয়টাকে পাবলিকলি নোটিস করার ভিত্রে কোথায় যেন “নারী পুরুষের অর্ধাঙ্গী” বোধের ঝুরঝুর করে ঝরে পড়ার ধাক্কা আছে। সমাজ এবং সমাজের পুং গোষ্ঠী নারীকে যৌনতায় পোট্রে করে “পুরুষ স্পর্শ করবে/আর নারী স্পর্শে নিজের যৌনতা মেলে ধরবে”। মানে রিসিভার, নারী অ্যক্টিভ রিসিভার আর পুরুষ অ্যাক্টিভ প্রোভাইডার। যৌনতা যে একটা পারস্পরিক ব্যাপার সক্রিয়তার দিক থেকে, এইটা সরাসরি কখনোই স্বীকার করে না সমাজের ফ্রন্ট পেইজ, ব্যাক পেইজ। অস্বীকার করা, এই ডিনায়ালের মূল কারণ শাসন। ছোট করে রাখলেই নিয়ন্ত্রণ করা সহজ। নারীকে আসলে পূর্নাঙ্গ সত্বা না ভাবাটাই প্রচলন, সে টাকা উপার্জন করুক, তাতে কী! ওর উপার্জিত সম্পত্তির তো আইনগত পরিনতি ভিত্তিক নির্দেশনা নাই।
পুরুষ যেহেতু তার যৌন রস যোনীতে ঢালে আর নারী তা ধারণ করে বাচ্চা ফুটায় আর বাচ্চা যেহেতু তার অস্তিত্বের ধারাবাহিকতার স্বীকৃতি হিসাবে সমাদৃত, সেই সমাদর পেতে নারীকে পুরুষের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে। এই ন্যারেশনে যেইটা সবসময়ই সাইল্যান্স থাকে যে পুরুষকেও একই সমাদর ও ক্ষমতার দাপটের জন্য নারী ছাড়া বিকল্প নাই, জৈবিক প্রক্রিয়ায়। নারীর যৌনসুখকে স্বাভাবিক আলাপ আলোচনায় থাকলে নারীর স্বাভাবিক এবং পূর্নতার স্বত্বা প্রকাশ্য হয়ে ওঠে আর প্রকাশ্যই আতঙ্ক সমাজের মেইন টেক্সেটের জন্য। এই আতঙ্ক হৈল ক্ষমতাধরদের ছড়ি ঘুরানোর জন্য প্রয়োজনীয়(রেড মার্ক/আবশ্যকীয়) দুর্বল ও ক্ষমতাকাঙ্খী গোষ্ঠী হারানোর আতঙ্ক।এই আতঙ্কের সাথে এই সমাজের সামাজিক ডু এবং ডোন্ট ডুতে বেড়ে ওঠা পুরুষের পুংদণ্ড খাড়া হওয়া না হওয়ার গভীর, চুড়ান্ত সম্পর্কও আছে।
নাসরিন: ধন্যবাদ তোমাকে। আমাদের আলাপ চলবে।
Categories: আন্দোলন বার্তা, কথোপকথন
Leave a Reply