পার্বত্য চট্টগ্রামে ইতিহাসের অন্য পাঠ: যুগতারা দেওয়ানের জীবন, পর্ব ১
সমারী চাকমা
“ভগবান বুদ্ধ ধর্ম সংঘ আমি ইস্যে অষ্টপরিস্কার দান, বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান আর অন্যান্য যে দানানি গুরির সে দানর পূন্য প্রভাবে সৎ দেবতাউন আমারে বেক দুখ্কানিত্তুন রক্ষা গত্তুক, আমি যার যার জীংহানিত, জাতীয় জীংহানিত, ঘরত, সংসার জীবনত, যার যিয়ান উদ্দেশ্য, বর মাগির, সিয়ানি সফল হদ, আমি আমার জাদর অধিকার আমি ফিরে পেদং, আমা জাতীয় অস্তিত্ব বজায় থেদ ভগবান বুদ্ধ ইধু আমি ইয়ান বর মাগির।”
এক বৌদ্ধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একজন নারী প্রকাশ্যে শত শত পূণ্যার্থীর সামনে ভগবান তথাগত বরাবরে ‘বর’ মানে আর্শিবাদ প্রার্থনা করছিলেন যিনি তিনি হলেন যুগতারা দেওয়ান। তাঁর এই প্রার্থনায় শুধুমাত্র নিজের বা জগতের সুখের জন্য ছিলনা, ছিল আমরা জাতি হিসেবে এই পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে যাতে টিকে থাকতে পারি সেই প্রার্থনা। সাধারণত: এই প্রার্থনা কেউ করেনা। সবাই ‘ব্যক্তিগত আর্শিবাদ আর সব্বে সত্তা সুখিতা হোন্ত’ বলে প্রার্থনা শেষ করে।কিন্তু এযে একেবারে নিজের জাতির অস্তিত্বের জন্য, আন্দোলনের সফলতার জন্য ভগবান বুদ্ধের কাছে প্রকাশ্যে প্রার্থণা! আমি অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম সেদিন। তারপর বহু অনুষ্ঠানে আমরা একসাথে প্রার্থনা করেছি এবং প্রতিটি অনুষ্ঠানে তাঁর চিন্তায় চেতনায় সবসময় এই দেশের আর জাতির অস্তিত্বের লড়াইএর চেতনা প্রতিফলিত হতে দেখেছি আমি। আজকের আমার লেখা তাঁেক নিয়ে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগ্রামী এক চাকমা নারী।
এমনিতে অনেক দিন ধরে ভাবছিলাম যে যেসব পাহাড়ি নারী জুম্ম জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার আন্দোলনে সরব, নীরব বা ছোট বড় ভূমিকা রেখেছেন তাদের অবদান সংগ্রামের কথা লিপিবদ্ধ করার আর তা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার। কারণ দেখা গেছে যে কোন আন্দোলনে নারীরা নানা দিক থেকে সাহায্য করে থাকেন কিন্তু আমাদের পিতৃতান্ত্রিক সমাজ এবং পার্টি এইসব নারীদের অবদান স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ। হয়তোবা ইচ্ছাকৃতভাবেই নারীদের সকল অবদান অস্বীকার করা হয়। একটি উদাহারণ দিলে পরিস্কার হয়ে যাবে, পার্বত্য জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) যখন পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করে অস্ত্র জমা দিয়ে তথাকথিত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে তখন পার্টির পক্ষ থেকে তাদের সদস্যদের যে লিষ্ট সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাতে মাত্র একজন নারীর নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয়। তাহলে কি আমরা ধরে নিতে পারিযে, পিসিজেএসএস এর দীর্ঘ এতবছর আন্দোলনে আর কোন নারী সম্পৃক্ত ছিলেন না। নিশ্চয় না। কারণ আমরা সকলেই জানি পিসিজেএসএস এর নারী শাখা হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি। এই মহিলা সমিতি’র সদস্যরা কি পিসিজেএসএস এর সদস্য নয় ! অথচ বাস্তবতা বলে নারীর প্রত্যক্ষ আর পরোক্ষ অংশগ্রহণ ছাড়া পিসিজেএসএস তাদের আন্দোলন এতদূর এগিয়ে নিতে পারতোনা। আমরা জানি পিসিজেএসএস প্রথম দিকের আন্দোলনে আর পার্টির কাজকে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে দিতে নারীরা কি রকম সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। সেনাবাহিনী, বেসামরিক বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে তারা জীবনের ঝুঁিক পর্যন্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু আজ সেসব নারীর ভূমিকার কথা ‘একজন’ এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
আর যেকোন আন্দোলন বা পরিবার বা সমাজে নারীকে স্বীকার না করার মানেই হচ্ছে অসমাপ্ত বা আর্ধেক ইতিহাস। তাই পাহাড়ের সংগ্রামী নারীদের কাজ (হোক ক্ষুদ্র) তাদের অংশগ্রহণের ইতিহাস সকলের সামনে নিয়ে আসার বা তাদের কথা লিপিবদ্ধ করার প্রাথমিক কাজ এই আজীবন সংগ্রামী ব্যক্তিত্বকে দিয়ে “পার্বত্য চট্টগ্রামে ইতিহাসের অন্য পাঠ – নারীর আন্দোলন ” শুরু হল।
যুগতারা দেওয়ান। তাঁর ধারণা, উপমহাদেশ ভারত-পাকিস্তান নামে দুটি দেশে বিভক্ত হওয়ার সময়ই তাঁর জন্ম। মায়ের কাছে শুনেছেন নতুন যুগ নতুন দেশ শুরু হবার সময়ে জন্ম নেবার কারণে তিনি মেয়ের নামটা রেখেছিলেন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ‘যুগতারা’ দেওয়ান। সত্যি যুগের-তারা। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামের আন্দোলনের অনেক কিছু খুব কাছ থেকে দেখেছেন, কষ্ট ভোগ করেছেন, স্বপ্ন দেখেছেন আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য যতটুকু সম্ভব জীবন বাজি রেখে কাজ করেছেন এবং আজো সে কাজ এগিয়ে নিচ্ছেন। এই জীবনে বিভিন্ন সময়ে সমাজের দেশের দশের অনেক গুরুত্বর্পূণ দায়িত্ব পালন করেছেন। যথাক্রমে ১৯৭৩/৭৪ জেএসএস এর নারী শাখা মহিলা সমিতির কেন্দ্রীয় সদস্য, ১৯৮৬ সালে কবাখালি ইউনিয়নের ইলেক্টেড মহিলা মেম্বার, ভারতে শরনার্থী কল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধক্ষ্য, দিঘীনালা মহিলা সমিতির সহ-সভাপতি (ঢাকা ভিত্তিক মহিলা সমিতি)এবং বর্তমানে মহাজন পাড়াস্থ সীবলি বৌদ্ধ বিহারের পরিচালনা কমিটির সভাপ্রধান। একই সাথে জনবল বৌদ্ধ বিহার, আলুটিলা নবগ্রহ ধাতু চৈত্য বৌদ্ধ বিহার, দিঘীনালাস্থ সকল বন বিহার, আর্যপুর বন বিহার, খাগড়াছড়ি সহ বৌদ্ধ বিহারের এবং পুজনীয় ভান্তেদের বড় পৃষ্ঠপোষক তিনি।
আমি তাঁেক চাক্ষুস প্রথম দেখি ২০০৮ সালে ভারতের বুদ্ধ গয়ায়। আমরা এক টীমের হয়ে সেখানে গিয়েছিলাম নন্দপাল ভান্তের বৌদ্ধ মন্দিরের প্রথম কঠিণ চীবর দান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। আমরা একই গ্রাম, মহাজন পাড়ার অধিবাসী। আমি জন্মসূত্রে আর তিনি বিবাহ সূত্রে। তাঁর সাথে আমাদের গ্রামের, খাগড়াছড়ি জেলার প্রাক্তন সাংসদ সদস্য জনাব উপেন্দ্রলাল চাকমার বিয়ে হয়। বুদ্ধ গয়ায় তাঁর সাথে দেখা হলেও সেবারে আমাদের কোন আলাপ বা পরিচয় হয়নি। দূর থেকে আমার সাথী তাকে দেখিয়ে বলেছিল ঐযে যুগতারা পিসি। অবশ্য তার অনেক আগে থেকে আমি যুগতারা দেওয়ানের সুনাম ও সংগ্রামী চেতনার কথা শুনেছি। সংগ্রামী এই ব্যক্তির সাথে আমার প্রথম আলাপ হলো এক ধর্মীয় সভায়। যে দুই তিনজন নারী গ্রামের নানা সামাজিক, ধর্মীয় সভায় সকল পুরুষের ভীড়ে উপস্থিত থাকেন তাদের মধ্যে তিনিই একজন। অনেক সময় এসব মিটিংএ তিনিই একমাত্র নারী যিনি নারীদের/আমাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। শুধু গ্রামে নয়, দেখা যায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা ভিত্তিক কোন বড় ধরণের প্রোগ্রামে যে ক’জন হাতে গোনা নারীকে মিটিংএ ডাকা হয় বা উপস্থিত হন তাদেঁর মধ্যে তিনিই প্রধান। একই ভাবে ধর্মীয় বড় কোন সমাবেশে তাঁর উজ্জল উপস্থিতি সবসময় দেখা যায়। তিনি মনে হয় একমাত্র ব্যক্তিত্ব যিনি প্রত্যেক ধর্মীয় প্রার্থনায় নিজের জন্য, দশের জন্য এমনকি জাতির আন্দোলন যাতে সফল হয়, দেশ জাত যাতে এই দেশে নিজের মাটিতে টিকে থাকতে পারে সেই ‘বর’ বা প্রার্থনা করেন প্রকাশ্যে। তিনি বিশ্বাস করেন তখনই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান টিকে থাকবে যদি সে ধর্মের জনগণ টিকে থাকতে পারে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসের অনেক ঘটনার স্বাক্ষী এই নারী জীবন শুরু করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের জুম্মদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত হয়ে। ‘দেজ প্রেম ভারী দরমর প্রেম। যারে এক পল্লাহ ধরে তারে আর ন’সারে।’ এই কথাটি তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন। তিনি প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন জেএসএস এর প্রথম দিকের আন্দোলনের কিছু চিত্র, সেসময়ের আন্দোলন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বর্বরতা, ১৯৮৬ সালের ১৩ জুনের দিঘীনালার গণহত্যা, বাঙালীদের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা, নির্মমতা, হাজার হাজার মানুষের দেশ ছাড়ার ঘটনা দেখেছেন, নিজেও নিজ ভিটেমাটি ফেলে ভারতে পাড়ি দিয়েছেন, নিজ জীবন দিয়ে বুঝেছেন “শরনার্থী শিবির” “শরনার্থী” কাকে বলে- সেখানকার রুঢ় বাস্তবতা, হাজারে হাজারে অপ্রয়োজনীয় মৃত্যু,‘নিজ দেশে আমরা পরবাসী’ এই কঠিন বাস্তবতা, আর আকাশ থেকে ঝড়ে পড়া ‘জামেই তারা’র মত স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়া। জীবনে উত্থান পতন দেখেছেন, ব্যর্থতা এসেছে, কিন্তু এতসব পরেও তিনি কখনও আশাহত হননি। আজ জীবন সায়াহ্নে এসেও তিনি সেই একই স্বপ্ন দেখেন যেই স্বপ্ন দিয়ে যৌবনে পথচলা শুরু করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেন আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার একদিন আমরা কেড়ে নিতে পারব। আমরা আমাদের ধর্ম কর্ম দিয়ে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সফল হবো।
আমার পারিবারিক নাম যুগতারা দেওয়ান। বাবা কামিনী কুমার দেওয়ান মা বিজগা চাকমা। আমরা ৬ বোন ১ ভাই। আমি ভাইবোনদের মধ্যে ৩য়। জীবনের অনেক বছর পেরিয়ে এসেছি। হতে পারে আমার বয়স এখন ৬৮/৬৯। দিঘীনালার পাবলাখালি শান্তিপুর গ্রামে আমাদের বাড়ী। আমাদের বাড়বাড়ন্ত সংসার ছিল। কোন কিছুরই অভাব ছিলনা। আমাদের অনেক বড় গুদাম ঘর, বাবারা যদিও ৪ ভাই কিন্তু গ্রামের এই বাড়ীতে মাত্র ২ ভাই বসবাস করতেন। বাকি দুজন কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন। ধান হতো, তরমুজ,বাদাম আরও কত কিছু চাষ আমরা করতাম। তরমুজ আর বাদামের ফলন এত ছিল যে এমনি এমনি ক্ষেতে পড়ে থাকত। তরমুজ, বাদাম এসব ফলফলাদি দূর থেকে বাঙালীরা এসে কিনে নিয়ে যেত। তখনতো দিঘীনালায় বাঙালী ছিলনা বললেই চলে। যেকজন বাঙালী ছিলেন তাদের মধ্যে হিন্দু বাঙালীর সংখ্যা ছিল বেশী।
তবে আমাদের পরিবারের একটা খুত ছিল আর সেটা হচ্ছে মেয়েদের লেখাপড়া করানোর ক্ষেত্রে। আমাদের বাড়ীর লোকেরা নারী শিক্ষায় বিশ্বাসী ছিলেননা। তাই স্কুলে গিয়ে আমি প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া শেখা হয়নি। যা শিখেছি সব বাড়ীতে আর নিজের চেষ্টায়। বাবা চাইত না আমরা মেয়েরা স্কুলে গিয়ে পড়াশুনা করি। মেয়ে স্কুলে পড়তে গেলে বেশী চালাক হয়ে যাবে। আর বেশী চালাক হলে বিয়ে দিতে অসুবিধা হবে। তাছাড়া মেয়েদের এত লেখাপড়া শিখেই বা কি হবে! এই ছিল বাবার মনোভাব। তাই আমরা পরিবারের বড় মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারিনি। কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে ছিল স্কুলে ভর্তি হতে। অবশ্য এটা ঠিক সবার সব ইচ্ছা পূরণ হয়না। আমার ছোট ভাই আর বোনরা বিএ পাস করেছে তাও আমার চেষ্টার কারণে। শুধু আমার পরিবার যে মেয়েদের স্কুলে দেয়নি তা না আমাদের গ্রামের খুব কম মেয়েই পড়াশুনা করতে পেরেছে স্কুলে ভর্তি হয়ে। আমি কিন্তু ষাট দশকের কথা বলছি।
ছোট বেলার জীবন ছিল শান্তিপূর্ণ আনন্দে পরিপূর্ণ। পড়াশুনার চাপ ছিলনা। অনেকটা স্বাধীন হেসে খেলে বড় হওয়া যাকে বলে। ছোট বেলার একটা ঘটনা আমার একটু একটু মনে পড়ে। মানুষ জন ‘বড় পরং’ যেতো দলে দলে। আমরা দেখতাম ‘মেইনি’ নদী দিয়ে নৌকা করে মানুষ যাচ্ছে। বাবা মা বলতো ‘বড় পরং’ এ যাচ্ছে। কিন্তু কি এই বড় পরং সেটাতো তখন বুঝতাম না। মাঝে মাঝে বাবা-মা বলত আমাদেরও বোধহয় যেতে হবে। কিন্তু কোথায় যেতে হবে তখন সেটা না বুঝলেও বড় হবার পর বুঝেছি “বড় পরং” কি।
এভাবেই জীবন কেটে যাচ্ছিল। আমার গ্রামের মেয়ে বন্ধুদের অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। আমার বিয়ে করার কোন ইচ্ছেই নেই। তাই আমি আমার পরিবার আর চাষবাদ করে ধর্মীয় কাজে ব্যস্ত থাকি। এরই মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে গেল। আমরা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের বাসিন্দা হয়ে গেলাম।
মানবেন্দ্র নারায়ন লারমা দিঘীনালা হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করলে তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়। তিনি আমার দূর সর্ম্পকে বোনের স্বামী বিধায় তাকে আমি বনই বলে ডাকতাম। তিনি খুবই অমায়িক, প্রগতিশীল, উদারমনা, ধার্মিক মানুষ ছিলেন। আর খুব ভালো বাশিঁ বাজাতেন। একদিন লারমা বনই নির্বাচনে এমপি হয়ে রাংগামাটি চলে গেলেন তারপরে অনেকদিন পর শুনলাম তিনি একটি পার্টি গঠন করেছেন। নাম জনসংহতি সমিতি বা শান্তিবাহিনী। তখনতো সবাই এই দলকে ‘জেএসএস’ এর চাইতে ‘শান্তিবাহিনী’ নামে চিনত।
চলবে
Categories: প্রান্তিক জাতি প্রশ্নে, বাংলাদেশে নারীবাদ, যাপিত জীবন
Rupkothar moto, osadharon. Salute ai alokito Jummo Jononi-ke. Sathe tomake-o, sundor kajti shuru korar jonno. Best of luck.