সায়দিয়া: কিছুদিন আগে আমাদের ব্লগে শবনম নাদিয়ার একটি লেখা পোস্ট হয়েছিল। লেখাটায় একটা বেশ কাজের ধারণা শবনম আমাদের সামনে হাজির করে — গৃহকর্ত্রীদের নারীবাদ। লেখাটা নিয়ে ইমেইলে শবনমের সাথে আলাপ হচ্ছিল, ও তখন বলল, ধারণাটি ওর কাছে পশ্চিমে শ্বেতাঙ্গ নারীবাদ বা white feminism-এর সমার্থক মনে হয়। পশ্চিমে অশ্বেতাঙ্গ নারীদের জীবন বর্ণবাদী বাস্তবতায় প্রতিনিয়ত ক্ষতবিক্ষত হচ্ছিল/হচ্ছে তা নারী আন্দোলনের মূলধারা দেখতে পায়না বা চায়না, সেই অন্ধত্বকেই শ্বেতাঙ্গ নারীবাদ হিসেবে চিনি আমরা। একই ভাবে আমাদের দেশের নারী আন্দোলনের মূলধারা — ডোনার ফান্ডেড প্রজেক্ট কেন্দ্রিক নারীবাদ বা উন্নয়ন নারীবাদ, লিবারেল ব্লগ-জগতের male bashing নারীবাদ — শ্রমিক বা আদিবাসী নারীর ইস্যুগুলোকে সচরাচর চিনতে পারে না। সোজা বাংলায়, গৃহকর্ত্রী নারীবাদীরা শ্রমিক নারীর বাস্তবতাকে আমলে নেয়নি, নেয়না। বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার নারীর প্রতি সংহতি জানিয়ে আমরা রাস্তায় নামি, একই সপ্তাহে জুরাইনে গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর জন্য শাহবাগে কাউকে দাঁড়াতে দেখা যায় না। কিংবা এই সপ্তাহে যে খবরটা মিডিয়া মনযোগের অনেকটা জুড়ে ছিল, সেটা হল, বগুড়ার একজন সাধারণ দরিদ্র কলেজ ছাত্রীকে শ্রমিক লীগের নেতার ধর্ষণ এবং ধর্ষণ পরবর্তী সহিংসতা — কিছু বাম দলের নারী সংগঠনগুলো, যেমন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, ছাত্র ইউনিয়নকে আমরা বিচারের দাবিতে রাস্তায় দেখি — কিন্তু তাবাদে প্রতিবাদগুলো জেলা শহরকেন্দ্রিক, রাজধানীর নারীবাদীরা একভাবে রাস্তায় নীরবই থেকেছে…
নাসরিন: হুম.. যে কারো ওপরে যৌনাত্মক হামলা হলে সবগুলোরই প্রতিবাদ হওয়া জরুরি। তবে আছে তো এমন নারীবাদীরা যারা মনে করে গরীব নারীর মরা বাঁচা কোন ব্যাপারই না।
সায়দিয়া: তাতো অবশ্যই। আমি আসলে যে জিনিসটা নিয়ে অনেকদিন ধরে বিচলিত, সেটা হলো আমাদের নারীবাদী সংবেদনশীলতার শ্রেণীচরিত্র। কোন নারীর উপর আক্রমন হলে আমরা নিজেরাও আক্রান্ত বোধ করি তার কিন্তু একটা পরিষ্কার শ্রেণী ও ethnic বৈশিষ্ট্য আছে। বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের এই অন্ধত্ব নিয়ে কথা বলতে গিয়েই শবনম গৃহকর্ত্রী নারীবাদ ধারণাটি উত্থাপন করেছে। মিরপুরে লেফেটেন্ট কর্ণেল তাসলিম আহসানের স্ত্রী আয়েশা লতিফ তার গৃহকর্মী সাবিনা আখতারকে ভয়াবহ মারধর করে। ঘটনাটি পাবলিক হয়ে যায়। তখন উইমেন চ্যাপ্টারে একটা লেখা প্রকাশিত হয়, “গৃহকর্মীরা যখন গৃহকর্ত্রী হতে চায়।” সঙ্গত কারণেই সোশাল মিডিয়ার প্রগতিশীল মহলে নারীবাদ নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলে। অনেকে উইমেন চ্যাপ্টারের শ্রেণী অন্ধত্বের সূত্র ধরে নারীবাদকেই খারিজ করে দেয়। ফেসবুকে কলরব যখন উত্তুঙ্গে, তখন শবনমের এই তকমাটা কিন্তু দ্ইু কথায় নারী-নারীর ক্ষমতার সম্পর্ক দারূনভাবে স্পষ্ট করে। তাতে সবাই ঠান্ডা হয় তা বলছি না।
নাসরিন: শবনম নাদিয়ার লেখা “গৃহকর্ত্রী নারীবাদীরা” লেখাটা পড়ে আমিও বেশ মজা পেয়েছি, বুঝলা? লেখাটা পড়তে পড়তে আমার অবশ্য মনে পড়ে গিয়েছিল মার্কিনী কৃষ্ণাঙ্গ-সমকামী নারীবাদী অড্রে লর্ডের “The Master’s tool will never dismantle the Master’s house” লেখাটার কথা। শবনম খুব মজা করে মূল ভাবটা লিখেছে কিন্তু! “গৃহকর্ত্রী নারীবাদ দিয়ে…পুরুষতন্ত্রের বাল ছিঁড়া… পারবেন না”। হি হি হি।তুমি বলছো সোশাল মিডিয়িার প্রগতিশীলদের মধ্যে কয়েকজনের নারীবাদকেই পুরোপুরি খারিজ করার প্রবণতার কথা। মাঝে তো আমি নিজেই আমার নারীবাদী পরিচয় নিয়ে বনবাসে চলে যাবো ভাবছিলাম। কী হয়েছে শোনো। নেদারল্যান্ডস ও জার্মানীতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকছেন এমন কয়েকজন বাংলাদেশী বাঙালী লেখক, পাঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের সাথে কথা হচ্ছিলো বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের নারীবাদী লেখালেখি নিয়ে। খেয়াল করলাম অনেকে আমাকে উইমেন চাপ্টারের নারীবাদী মনে করছে! তখন আমার মনে হয়েছে নিজের নারীবাদী পরিচয় যদি রাখতেই হয় তাহলে নারীবাদী লেখক হিসেবে আমার/আমাদের আরও সচল হবার দরকার আছে এ’টা বোঝাতে যে উইমেন চাপ্টারের নারীবাদ আমার/আমাদের নারীবাদ না। আমার আরও মনে হয় যে আমাদের পাঠকদের বার বার বলার দরকার যে নারীবাদী দার্শনিক ও রাজনৈতিক কর্মীরা নারীর অধস্তনতার হোতা হিসেবে পিতৃতন্ত্রকে চিহ্নিত ও মোকাবেলা করছেন। কিন্তু একই সাথে আমাদের বোঝাবুঝির মধ্যে রাখতে হবে যে প্রতিটি নারীরই নির্দিষ্ট পরিবেশ-পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়, যেটা আবার সময় ও সুযোগের সাথে সাথে প্রতিনিয়তই পাল্টাচ্ছে। নারীবাদীরা যদি লিঙ্গীয় ও যৌন দমন-পীড়নের পাশাপশি নিজেদের মধ্যকার ভিন্নতা ও বৈষম্যগুলো দেখতে না পায় তাহলে এই দুনিয়ার নানারকমের ক্ষমতাকাঠামোগুলো, ক্ষমতাপরম্পরাগুলো ক্ষমতাসীনরা কিভাবে টিকিয়ে রাখছে সেটা কিভাবে তারা দেখতে পাবে এ’টা আমার মাথাতেই ঢোকে না।
সায়দিয়া: exactly, রাষ্ট্র বা প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার রাজনীতিতে জেন্ডার প্রশ্ন বা নারীবাদের যে কদর (political currency), সেই চর্চাটাকে বোঝার ক্ষেত্রে গৃহকর্ত্রী নারীবাদ ধারণাটি একইভাবে অর্থবহ না। যেমন ধর, সম্প্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, দেশের প্রথম নারী উপাচার্য যিনি নারীবাদী হিসেবেও পরিচিত, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। আমাদের আমলে নৃবিজ্ঞান বিভাগের শির্ক্ষার্থীদের জেন্ডার স্টাডিজ পড়াতেন। তার প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতা-অন্ধ নারীবাদী চর্চার প্রতিবাদ করার জন্যই একে ভালোভাবে বুঝে নেয়ার তাগিদটা কাজ করে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে বলা দরকার আপনার নারীবাদ আমাদের না। কিন্তু আমি আবার ঠিক এটাকে একটা মোটাদাগে হেজেমনিক নারীবাদ বলতে চাই না।
নাসরিন: দেখো, আমি আসলে জানিনা ড. ফারজানা ইসলাম কী নৃবিজ্ঞান চর্চা করেন। আমি ওনার কোন লেখা কখনও পড়িনি, ওনার পাঠদানও দেখিনি। সম্প্রতি শিক্ষক আনু মুহাম্মদের এক লেখার মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওনার কীর্তির যে নমুনা পেলাম তাতে আমি স্তম্ভিত। আনু মুহাম্মদের ৩০ এর অধিক শিক্ষক জীবনে তিনি শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ককে দেখছেন বুদ্ধিবৃত্তিক গঠন ও অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার যৌথযাত্রা হিসেবে। আর ড. ফারজানা ইসলাম নিজেকে হাজির করলেন স্রেফ এক প্রশাসক হিসেবে যিনি কি না শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী, হত্যা-প্রচেষ্টাকারী নাম দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন হাজতে, কারাগারে! কোথায় গেল কর্তার সংসারের মুখোশ উন্মোচন করতে শেখা নৃবৈজ্ঞানিক হাতিয়ার আত্ম-সমালোচনা (self reflection), অংশগ্রহণ পর্যবেক্ষণ (participant observation), ভিন্নতার প্রতি সহণশীলতা, সামাজিক দায়-দায়িত্ববোধ? নৃবিজ্ঞানের মত একটা র্যাডিকাল ডিসিপ্লিনের চেহারা ওনার হাতে পড়ে পরিণত হলো আজাইরা সার্টিফিকেট, চাকরি, উচ্চপদ বাগানোর আজাইরা লেখাপড়ায়। ধ্যাত…শিক্ষার্থীদের কারাগারে, জেলহাজতে পুরে ভিসি-ম্যাডাম যে মুক্তি আর যাদের সাথে সংহতির স্বপ্ন দেখছেন/দেখাচ্ছেন সেটা তো নারীমুক্তির মতবাদ থেকে বহুদূরে বিরাজ করছে!
সায়দিয়া: এখানে আমি একটু বলি। আমার কাছে মনে হয়, এই কথাটা সবার জানা উচিত। ড. ফারজানা ইসলাম যিনি একজন নৃবিজ্ঞানী, বাংলাদেশের প্রথম নারী উপাচার্য হিসেবে বাংলাদেশের পিতৃতান্ত্রিক, রাষ্টবাদী ইতিহাসে নিজের জায়গা করে নেয়ার জন্য সেলিব্রেটেড, তিনি তারই দুজন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে শোকে দুটো বাক্য ব্যয় করতে পারলেন না, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন্ মহল আবার শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে নিয়ে কোন্ রাজনীতি শুরু করে, তার গদি নিয়ে টানাটানি করে, স্যরি আমি বিস্তারিত বলছি, সেই ভয়ে ক্যাম্পাসে জানাজা হতে দিলেন না, শোকাহত শির্ক্ষার্থীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের অনুমতি দিলেন, এবং রাতে আলোচনা চলাকালে উপাচার্য ভবন থেকে তার উপস্থিতিতে ১১জন ছাত্রীকে পুলিশের হাতে দিলেন, সাদা মাইক্রোবাসে পুলিশ ১১জন ছাত্রীকে ধামরাই থানায় নিয়ে গেলেন, পরদিন সকাল দশটা পর্যন্ত এই শিক্ষার্থীরা কোথায় ছিল সে বিষয়ে তাদের সহপাঠীরা বা পরিবার কোনও খোঁজ পেল না। এই যে ক্ষমতান্ধ নারীবাদ সেটাকেই আলাদা করে আলাপে আনার জন্য প্রসঙ্গটা তুললাম। সভা সেমিনারে জেন্ডার ইকুইটির বুলি কপচাবে আর উপাচার্যের আসনের লোভে ছাত্রীর নিরপত্তাকে অগ্রাহ্য করবে…

হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মশাল মিছিল, জুলাই ৩০, ছবি: আন্দোলনকারীদের একজন
নাসরিন: আমার মনে হয়, ফারজানা-ম্যাডাম নারীবাদকে বোঝে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষমতার গদিতে বসার/থাকার এক হাতিয়ার হিসেবে। এই নারীবাদ অনুযায়ী নারীকে গদিতে বসতে যে ক্ষমতায়ন দরকার হয় তার জন্য আগে নিজেকে ক্ষমতাহীন ও অক্ষম হিসেবে উপস্থাপন জরুরী। এই নারীবাদ তাকে এমন এক ওরিয়েন্টেশন বা ফ্রেমওয়ার্ক দেয় যেন মনে হয় নারী একমাত্র লিঙ্গীয়, যৌন দমন-পীড়নই মোকাবেলা করছে। নারীর ওপর দমন-পীড়নের যে আরও অনেক উৎস একই সাথে কার্যকর আছে সেগুলো এই নারীবাদ চোখে দেখে না। তার মানে নিপীড়িত নারীতে নারীতে (বা মানুষে) যে ঐক্য তৈরী হবে তার কোন জায়গা এখানে নেই। গৃহকর্ত্রী নারীবাদ এর নাম মক্ষীরাণী নারীবাদও দিতে পারো তুমি। ক্ষমতায় যাওয়া আর কুক্ষীগত করে রাখার মতলব ভাঁজে এই নারীবাদ, মুক্তির নয়।

২০১২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যেরদুর্নীতির বিরুদ্ধে যখন ক্যাম্পাস-এ তুমুল আন্দোলন চলছে, উপাচার্য ভবনের এক দিকের ফটকে শিক্ষার্থীরা অনশনরত, তখন ফারজানা ইসলাম, ভবনের অন্য ফটকে প্রশাসনের পক্ষে দাঁড়ান, মে ২০১২ ছবি: সায়দিয়া গুলরুখ
সায়দিয়া: গৃহকর্ত্রী নারীবাদ আর মক্ষীরাণী নারীবাদ একই মুদ্রার এপিঠ কিনা ওপিঠ কিনা সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। এই নিয়ে আরও একটু বিস্তারিত আলাপ করতে চাই। ক্ষমতা কুক্ষীগত রাখার মতলবের কথাটা খুব মজা লাগছে, কোন মতলব থেকে আসলে একজন লিঙ্গীয় বৈষম্যের প্রসঙ্গটি টেবিলে আনেন। এখানে সমাজবিজ্ঞানী হেস্টার আইজেস্টাইনের একটা কাজের কথা মনে পড়ছে, Feminism Seduced. যাই হোক, আবারও জাহাঙ্গীরনগর, নারীবাদী উপাচার্যের কথায় আসি। ঠিকই তো, ফারজানা ম্যাডামতো কখনও নারী আন্দোলনের মিত্র ছিলেন না। জাহাঙ্গীরনগরে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের বিশ বছর হবে। সেই আন্দোলনে যখন সারা দেশ জাহাঙ্গীরনগরের পাশে দাঁড়িয়েছেন তখন তিনি নীরব ছিলেন। ২০১২ সালে যখন স্বেচ্ছাচারি-দুর্নীতিবাজ উপাচার্য শরিফ এনামুল কবীর বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা ব্যবসায় পরিণত করেছিলেন — ক্যাম্পাসের লেক ইজারা দিলেন, প্রভাষক পদের জন্য মেধা নয় দাম নির্ধারণ করলেন, এবং আরও অনেক কিছু — তখন গোটা ক্যাম্পাস ছাত্রী-শিক্ষক আন্দোলন-অনশনে বসল। ফারজানা ম্যাডাম তখনও আমাদের মিত্র ছিলেন না, তাকে আমরা আক্ষরিক অর্থেই খুঁজে পাই তৎকালীন দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের বাসভবনের সামনে, ফটক আগলে দাঁড়িয়ে আছেন, ক্ষমতার দ্বাররক্ষী হিসেবে। তুমি শুরুতেই অড্রে লর্ডের সেই বিখ্যাত লেখাটার কথা বলছিলে। শরীফ এনামুল কবীরের বাড়ির গেটে আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিচারের দাবীতে বক্তৃতারত ফারজানা ম্যাডামের ছবিটা দেখলে মনে হয় বটি-খুন্ডি-হাতুড়ি দিয়ে কর্তার সংসার ভাঙ্গতে নয়, ক্ষমতা কুক্ষীগত রাখার মতলবে, কর্তার সংসারের, ক্ষমতার দ্বাররক্ষী হিসেবে উনি নারীবাদের গান গাইছেন।
নাসরিন: ছবিটা কিন্তু দারূন তুলেছিলে সেদিন বন্ধু।
সায়দিয়া: ছবিটা তোলার গল্প আরেকদিন বলবো ।
Categories: কথোপকথন
Leave a Reply