অন্ধ সিদ্দিকুর এবং মুহম্মদ জাফর ইকবালের ক্ষতিকর ‘বিস্ময়’

তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট, আগারগাঁও; আলোকচিত্র: ডেইলি ষ্টার

মাহতাব উদ্দীন আহমেদ

গত ২০ জুলাই, পরীক্ষার রুটিন ঘোষণার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামেন। প্রায় ছয় মাস ধরে তাদের পরীক্ষার রুটিন ঘোষণা করা হচ্ছিল না বিধায় অত্যন্ত নায্য ও যৌক্তিক কারণে তারা রাস্তায় নামেন। কিন্তু অত্যন্ত নায্য দাবিতে রাস্তায় নামলেও এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ দেখালেও একপর্যায়ে পুলিশ তাদের উপর হামলে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের মুখ তাক করে মারা পুলিশের টিয়ারশেল সরাসরি আঘাত হানে তিতুমীর কলেজের ছাত্র সিদ্দিকুরের চোখে। তাতে তিনি সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাকে হাসপাতালে পাঠানো হলেও পরবর্তীতে ছাত্রছাত্রীদের দাবির মুখে সরকার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে পাঠায়। কিন্তু তার চোখের আলো আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। পুলিশের বর্বরতার কারণে চিরতরে অন্ধত্ব বরণ করতে হল সিদ্দিকুরকে। যেভাবে পরীক্ষার রুটিন চাওয়ার ‘অপরাধে’ তাদের উপর পুলিশ দিয়ে হামলা চালানো হল তাকে স্রেফ ফ্যাসিবাদী আচরণের সাথেই তুলনা করা যায়।

এই ঘটনার ৭দিন পরে হঠাৎ করে  গত ২৭ জুলাই একটি “একটি বিস্ময়কর ঘটনা” শিরোনামে একটি লেখা লিখেন। পরের দিন অর্থাৎ ঘটনার ৮দিন পর একযোগে একই শিরোনামে দেশের ৬টি জাতীয় দৈনিকে এবং আরেকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে লেখাটি প্রকাশিত হয়। আগেই বলে রাখা ভাল, জাফর ইকবালের কিশোরদের জন্য লেখা গল্প, উপন্যাসগুলোর আমি ভক্ত ছিলাম। তাঁর বেশ কিছু কিশোর সাহিত্য কিশোরদের জন্য অসাধারণ বলে আজও মনে করি। যাই হোক, উপরোক্ত লেখাটি আগ্রহ নিয়ে পড়ার পর দেখা গেল এই লেখায় তিনি সিদ্দিকুরের ঘটনা নিয়ে নানারকম হতাশা ও তাঁর ব্যক্তিগত ‘অপরাধবোধ’ ব্যক্ত করার পর সচেতনভাবে হোক বা অনিচ্ছাকৃতভাবে হোক, কথার ম্যারপ্যাঁচে এমন সব বক্তব্য হাজির করেছেন যেগুলো একাধারে বিভ্রান্তিকর, ক্ষতিকর এবং প্রকারান্তরে ফ্যাসিবাদী আচরণকেই সমর্থন করে। ঠিক একারণেই উপরোক্ত লেখাটির প্রতিক্রিয়া লিখার প্রয়োজন হল।

প্রথমত আসা যাক লেখাটির শিরোনাম নিয়ে। পরীক্ষার রুটিন চাওয়ার জন্য যেভাবে শিক্ষার্থীদের পেটানো হল এবং সিদ্দিকুরকে অন্ধ হতে হল সেটি বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গণের ইতিহাসের বর্বরোচিত ঘটনাগুলোর একটি। এটি একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এটি প্রচন্ড রাগে, ক্ষোভে ফুঁসে ওঠার মতো একটি ঘটনা। কিন্তু মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছে এটি হয়ে গেল ‘একটি বিস্ময়কর ঘটনা’! এরকম বর্বরোচিত একটি ঘটনাকে এহেন বিভ্রান্তিকর শিরোনামে উপস্থাপন করাই পাঠকের কাছে ঘটনার গুরুত্ব খেলো করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। জাফর ইকবালের এই শিরোনামকে পুলিশি নিষ্ঠুরতার শিকার হওয়া অন্ধ সিদ্দিকুর বা তার সহপাঠীরা কিংবা তার পরিবার অথবা পাঠক যদি মস্করা হিসেবে আখ্যায়িত করে তাহলে কি সেটা অনায্য হবে?

জাফর ইকবাল নিজেও পুলিশি আচরণের সমালোচনা করেছেন। কিন্তু লেখার তৃতীয় অংশে তিনি লিখেছেন, ‘রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হলে মানুষজনের দুর্ভোগ কমানোর জন্য পুলিশ নিরুপায় হয়ে এই ধরনের অ্যাকশনে যেতেই পারে। তবে যখন রাজনৈতিক নেতারা বিদেশ থেকে দেশে আসবেন এবং তার দলের সমর্থকরা তাকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য এয়ারপোর্ট রোডের যানবাহন বন্ধ করে দেবেন তখনো পুলিশের একই ধরনের তৎপরতা দেখলে তাদের সদিচ্ছার ওপর বিশ্বাস আমার আরও বেড়ে যাবে।’ ঐদিনের ঘটনার প্রেক্ষিতে, পুলিশ নিরুপায় হয়ে এই ধরনের অ্যাকশনে যেতেই পারে একথা বলা আর ঐদিনের পুলিশি একশনের বৈধতা দেয়ার মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে? আরো লক্ষণীয়, একথা বলার মধ্য দিয়ে প্রকারান্তরে একটি নায্য দাবিতে রাস্তায় নামাকে, আক্ষরিক অর্থেই শিক্ষার দাবিতে রাস্তায় নামাকে তিনি চিহ্নিত করছেন ‘জনদুর্ভোগ’ হিসেবে! এ তো যেকোন স্বৈরাচারী সরকারের ভাষা! এ তো পুলিশি দমনপীড়নের পর পিঠ বাঁচানো পুলিশি ভাষা! আরো যেটা লক্ষনীয়, তিনি বিভিন্ন সময় সরকারি দলের লোকেরা তাদের নেতাকে সংবর্ধনা দেয়ার জন্য যেভাবে রাস্তা আটকে সত্যিকার অর্থেই ব্যাপক জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে তার সাথে নায্য দাবিতে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করাকে একই পাল্লায় মাপছেন! দুটোই তার কাছে সমপরিমাণ জনদুর্ভোগ! তাহলে তো বলতে হয় এদেশে অতীতে শিক্ষা নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা শহীদ হয়েছিলেন তারাও জনদুর্ভোগই সৃষ্টি করেছিলেন। জাফর ইকবাল কি তাই বলতে চান?

এর পরে তিনি লিখেছেন, ‘পুলিশের আচরণ যে মানবিক আচরণ ছিল না সেটা আমরা পরের কয়েকদিনের মাঝে টের পেলাম। একজন দুই জন নয় বারো শত ছেলেমেয়ের বিরুদ্ধে মামলা করে দেওয়া হলো।’ তার মানে কি? মামলা না দিলেই পুলিশের ঐদিনের আচরণ মানবিক হয়ে যেত? ঘটনার দিনই যেখানে ফেসবুক ও পত্রিকার মারফত সবাই জেনে গেছে যে পুলিশ কিরকম নিষ্ঠুর আচরণ করেছে সেখানে ‘পুলিশের আচরণ যে মানবিক ছিল না’ এটা টের পেতে তাঁর কয়েকদিন লেগে গেল! আসলেই ‘বিস্ময়কর ঘটনা’।

তিনি আরো লিখেছেন, ‘শুধু যে মামলা হয়েছে তা নয়, সংবাদমাধ্যমে দেখেছি এই মামলা হচ্ছে হত্যা মামলা! …ছেলেমেয়েরা সেদিন শাহবাগে যে তাণ্ডবই করে থাকুক তারা যে কাউকে হত্যা করার জন্য একত্র হয়নি, সেটি বোঝার জন্য কি আইনস্টাইন হতে হয়?’ প্রশ্ন হচ্ছে ছেলেমেয়েলা কখন তান্ডব করলো? যে কাজ তারা করেনি সেই অপবাদ তাদের উপর চাপানোর উদ্দেশ্য কি? এ তো রীতিমতো হাস্যকর ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য।

এর পরবর্তী প্যারায় তিনি সবচেয়ে ভয়াবহ বক্তব্যটি দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, “সংবাদমাধ্যমে দেখেছি পুলিশ ছেলেমেয়েদের হাত থেকে তাদের ব্যানারটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। পুলিশকে নিশ্চয়ই লাঠি দিয়ে পিটিয়ে একজন বিক্ষোভকারীকে ছাতু করে ফেলার অধিকার দেওয়া হয়েছে কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি কারও হাত থেকে তাদের ব্যানার কেড়ে নেওয়ার অধিকার দেওয়া হয়নি।” পুলিশকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে একজন বিক্ষোভকারীকে ছাতু করে ফেলার অধিকার দেয়া হয়েছে একথা তিনি কোথায় পেলেন? দেশের কোন আইনে একজন বিক্ষোভকারীকে ছাতু বানানোর অধিকার পুলিশকে দেয়া হয়েছে? যতই ‘সাধাসিধা’ ভাবে তিনি বলুন না কেন এর চাইতে ফ্যাসিবাদী বক্তব্য আর কোন কিছু হয় কি? আরো লক্ষনীয়, জাফর ইকবাল বিক্ষোভকারীকে পিটিয়ে ছাতু করাকে উপেক্ষা করে পুলিশ যে ব্যানার কেড়ে নিল তার উপর ফোকাস করে সমালোচনার তীর ছুঁড়ছেন। শাক দিয়ে মাছ ঢাকা বোধ হয় একেই বলে। তিনি কি আসলেই তেমনটা করতে চেয়েছেন? তাঁর এই কেবল ব্যানার কেড়ে নেয়ার ‍উপর ফোকাস করাকে সিদ্দিকুরের কোন ক্রুদ্ধ সহপাঠী যদি পুলিশি বর্বরতার উপর থেকে নজর ঘুরানোর অপচেষ্টা বলে আখ্যায়িত করে তাহলে কি সেটা খুব অন্যায় হবে? তাঁর বক্তব্য অনুসারে যদি পুলিশ ঐদিন ব্যানার না কাড়ত তাহলে নিশ্চয়ই পুলিশি বর্বরতা নায্য হয়ে যেত। কারণ তিনি তো নিশ্চিতই যে বিক্ষোভকারীকে ছাতু করে ফেলার অধিকার পুলিশকে দেয়া হয়েছে!

সবশেষে তিনি শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। কারণ তাঁর ভাষায়, শিক্ষামন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে সিদ্দিকুর রহমানকে দেখে এসে নাকি সিদ্দিকুর ও তার আরও দুই লক্ষ সহপাঠীর দাবির প্রতি এক ধরনের সম্মান জানিয়েছেন। প্রশ্ন করা দরকার, যেই শিক্ষামন্ত্রীর আমলে পরীক্ষার রুটিন চাওয়ার ‘অপরাধে’ একজন শিক্ষার্থীকে অন্ধ বানিয়ে দেয়া হয়েছে সেই শিক্ষামন্ত্রী হাসপাতালে গিয়ে অন্ধ হতে চলা শিক্ষার্থীকে দেখে আসলেই কি শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান দেখানো হয়ে যায়? শিক্ষার্থীদের সম্মান কি এতটাই সস্তা? সর্বোপরি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার দায় নৈতিকভাবে শিক্ষামন্ত্রী এড়াতে পারেন কি? তিনি সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন যেহেতু সরকার সিদ্দিকুর রহমানের চোখের চিকিৎসার যাবতীয় খরচের দায়িত্ব নিয়ে তাকে চেন্নাই পাঠিয়েছেন। ব্যাপারটা তাহলে এরকম দাঁড়ালো যে কেউ যদি একজনের গরু মারার পর তাকে জুতা দান করে তাহলেই সে মুহম্মদ জাফর ইকবালের কাছ থেকে কৃতজ্ঞতা পেয়ে যাবেন। কারণ গরু মেরেছে তো কি হয়েছে? জুতা তো দান করেছে! মুহাম্মদ জাফর ইকবাল কি তাই বলতে চেয়েছেন সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে? যেখানে সিদ্দিকুরের ঘটনা এই সরকারের আমলে পুলিশ প্রশাসনের ঘটানো সবচেয়ে ন্যাক্কারজনক ও বর্বরোচিত ঘটনাগুলোর একটি, যেখানে এই বর্বরোচিত ঘটনার দায় সরকার ও ঢাবি প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারে না, সেখানে সরকারকে এরকম অযৌক্তিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানানোর মানে, শুনতে খারাপ লাগলেও, এটাই দাঁড়ায় যে এর মাধ্যমে সরকারের দায়ভারকে কিছুটা লাঘব করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। ব্যাপক সমালোচনা ও গণরোষ তৈরি না হলে সরকার সিদ্দিকুরকে চেন্নাই পাঠাতো কিনা সেটাও একটা বিবেচনাযোগ্য প্রশ্ন বটে।

আশ্চর্যজনকভাবে পুরো লেখাটির কোথাও সিদ্দিকুরকে যারা অন্ধ করে ছাড়লো তাদের বিচারের দাবি নেই। বরং হতাশা আছে যে পুলিশ প্রমাণ করে দিবে যে তাদের কারণে সিদ্দিকুর চোখ হারায়নি। এই হতাশাও শেষ বিচারে ক্ষতিকারক (যখন সেটা একযোগে ৬টি জাতীয় দৈনিক দ্বারা প্রচারিত হয়)। অথচ এই মুহূর্তে জোরালোতম গলায় এই ঘটনার বিচার দাবি করাটাই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই বিচার দাবি না করার সাথে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কোন যোগসূত্র কেউ খুঁজতে আগ্রহী হলে তাকে আর যাই হোক দোষারোপ করা যাবে না। কারণ সেই যোগসূত্র খোঁজার সুযোগটা জাফর ইকবালই করে দিয়েছেন।
সারাদেশে উচ্চশিক্ষাঙ্গনগুলোতে বর্তমানে ফ্যাসিবাদী আচরণ ভয়ানকভাবে থাবা বিস্তার করে চলেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সহপাঠীর মৃত্যুর প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের মার খেল ছাত্রছাত্রীরা, এর পর প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করলে কতিপয় উত্তেজিত শিক্ষার্থীর তুচ্ছ টব ভাঙ্গার কারণে ছাত্রীসহ ৪২ জনকে গভীর রাতে গ্রেফতার করালো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা হল! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমালোচনা করায় শিক্ষককে যেতে হয়েছে বাধ্যতামূলক ছুটিতে। তুচ্ছ কারণে ৫৭ ধারায় মামলা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের উপর। গোপালগঞ্জে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের দুর্নীতির সমালোচনা করায় এক শিক্ষার্থীকে বহিস্কার করা হয় বলে অভিযোগ আছে। তার সহপাঠীরা প্রতিবাদে নামলে আরো ৭ জনকে বহিস্কার করা হল। সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার পর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকদিন আগে শিক্ষার্থীরা অগণতান্ত্রিকভাবে সিনেট নির্বাচনের প্রতিবাদ করায় এবং ডাকসু নির্বাচন দেয়ার দাবি তোলায় দলীয় শিক্ষকরাই নেমে গেলেন পেটোয়া পুলিশের ভূমিকায়! এই ফ্যাসিবাদী আবহাওয়ায়, যেখানে জোরের সাথে শিক্ষাঙ্গণে সকল প্রকার ফ্যাসিবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দরকার, সেখানে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের লেখাটি উল্টো সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের উপর চালানো ফ্যাসিবাদী আক্রমণের উপর মলম লাগানোর কাজটিই করেছে এবং এক ধরনের ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে প্রকারান্তরে কয়েক জায়গায় ফ্যাসিবাদকেই সমর্থন করেছে। অথচ একজন জনপ্রিয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক হিসেবে ঠিক এর বিপরীত কাজটিই মুহাম্মদ জাফর ইকবালের করা উচিত ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে উপরোক্ত লেখাটিতে তিনি সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই দুর্ভাগ্য তাঁর বইয়ের মূল পাঠক যারা সেই শিক্ষার্থীদের নাকি তাঁর নিজের সেটা বিচারের ভার পাঠকের।

মাহতাব উদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক ও এক্টিভিস্ট



Categories: আন্দোলন বার্তা

Tags:

Leave a Reply

Please log in using one of these methods to post your comment:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

%d bloggers like this: