হাবিবা নওরোজ
সিমোন দ্য বুভোয়ার দ্বিতীয় লিঙ্গে একটা অধ্যায় রেখেছেন আত্নরতিবতী নারীর জন্য। তাঁর ভাষায় “… পরিকল্পিত কোনো কর্ম ও লক্ষের মাধ্যমে নিজেকে চরিতার্থ করতে না পেরে নারী বাধ্য হয় নিজের দেহের সীমাবদ্ধতার মধ্যে নিজের বাস্তবতা খুঁজতে।” বুভোয়ারের এই বাক্যের সাথে আমি আমার বাস্তবতায় আংশিক একমত। নারী হিসেবে আমার নিজের জীবনের নিপীড়নের অভিজ্ঞতা যখন আমাকে পুরুষতন্ত্র বিরোধী করে তখন আমি ভাবতে বাধ্য হই, সমাজ আমার শরীরী উপস্থিতির জন্য যে বাস্তবতা তৈরি রেখেছে তার কারনেই নারীবাদী হিসেবে আমি আমার আত্নপরিচয় নির্মাণ করেছি। বুভোয়ারের আত্নরতিবতী নারী জীবনের সহিংসতা, নিপীড়নের ব্যখ্যা খুঁজতে নিজের উপরে পরম গুরুত্ব আরোপ করেনা। আমি আমার অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্ব আরোপ করছি নারীবাদের প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞানের বাস্তব ভিত্তির সন্ধান করতে গিয়ে। পৃথিবীর তাবৎ নিপীড়িতের সাথে একাত্মতার উৎস খুঁজতে গিয়ে যখন আমি আমার ব্যক্তিগত নিপীড়নের অভিজ্ঞতার দিকে তাকাতে চাই তখন তাঁর মধ্যে আত্নরতি কিছুমাত্রায় হয়তো থাকে। কিন্তু সচেতনায়নের প্রক্রিয়া হিসেবে নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে নিজের অভিজ্ঞতার পুনরপাঠ আমার গ্রহণীয় একটি পথ মনে হয়। নারী, পুরুষ, উভলিঙ্গ সকলের জন্যই। বারবারা এহরেনরেইখ এর মত আমি বিশ্বাস করি নারীবাদী বিশ্লেষণের মাধ্যমে নগ্ন করে ফেলা বাস্তবতা বোঝার অর্থ হচ্ছে কাজে নেমে পরা, নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গী আছে কিন্তু দর্শক হিসেবে আছেন এমন হবার কোন সুযোগই নেই। তাই নারীর ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতা যখন সচেতনায়নের, সমাজ পরিবর্তনের প্রথম ধাপ তখন তা আমার কাছে বরণীয়। সিমোন আত্ন রতিবতী নারীর জন্য একটি অধ্যায় নিবেদন করেছেন। তিনি পুরুষের অহিংস লিঙ্গান্ধতা, আত্নপ্রেম নিয়ে লিখলে আমরা আরও উপকৃত হতাম। পুরুষের এই লিঙ্গান্ধতা সহিংসতার মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত হয়। সেটা ব্যাটাগিরি, পৌরুষের একটা নমুনা। কিন্তু তাত্ত্বিক পুরুষের লিঙ্গান্ধতা (male chauvnism) প্রকাশিত হয় নারীর অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান খারিজ করার মধ্যে দিয়ে। এটা শরীরী সহিংসতা নয় কিন্তু পদ্ধতিগতভাবে নারীকে জ্ঞানের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন রাখে এই পুরুষালী লিঙ্গান্ধতা। নিজের অভিজ্ঞতা লিখবার শুরুতে তাই আতঙ্কিত বোধ করছি। মনে প্রানে কামনা করি যেন আমার কথা আত্নপ্রেমে গদ গদ ঐ পুরুষদের মত না শোনায় যারা ব্যক্তি নারীর পুরুষতন্ত্র বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে নিজের দিকে তাকাবার পদ্ধতিকে খারিজ করেন ব্যক্তিগত, অতিবিপ্লবী বা ঐ জাতের কোন তকমা দিয়ে। তাঁদের কাছে এটা সেচেতনায়নের প্রক্রিয়া না, তাঁদের কাছে এটা নারীর আত্নরতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় পাবলিক বাসে চড়ার অভ্যাস করেছিলাম। নিজের ভেতরের ভয়, অস্বস্তি কাটাতে চাওয়া এর একটা প্রধান কারন ছিল। আমি খুব সচেতনভাবে যৌন হয়রানী, নারী বিদ্বেষী আচরণগুলো মোকাবেলা করার চেষ্টা করতাম। একদিন সন্ধ্যার ঘটনা; ওটা মনেহয় শেষ বাস ছিল। পুরো বাসে তিল ধারনের জায়গা ছিলনা। দেখি নারী সিটে এক “ভদ্রলোক”, দেখে মনে হয় সচ্ছল, নির্বিকার, ঔদ্ধত্বের ভঙ্গীতে বসে আছেন। তাঁর পাশে কয়েকজন নারী দাঁড়িয়ে। আমি তাকে বল্লাম নারীদের বসার জায়গা দিতে। তাঁর ক্ষুব্ধ, রাগান্বিত, ঔদ্ধত্ত্বপূর্ণ ভঙ্গী আজো আমার চোখে ভাসে। তিনি তর্কা তর্কীর একপর্যায়ে এমনভাবে আমাকে শাসাতে শুরু করেন যেন মনে হোল দখলদারি তিনি না আমি করেছি। তখন না বুঝলেও আজ বুঝি আশে পাশের কোন নারীই আমাকে সরব সমর্থন কেন দেননি। কে আর তাঁর নিরাপত্তাহীনতা আরও বাড়াতে চায়? বাক যুদ্ধে ইতি টেনেছি আমি। পুরুষতন্ত্র তো কবেই জিতেছে। শেষ মেশ এক অল্পবয়স্ক মেয়ে বলে ওঠে “আপু এরা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী।” ঐদিন তর্ক করতে করতে এত আতঙ্কিত বোধ করছিলাম যে মনে হচ্ছিল আমার সাথে ঐ ভদ্রলোক “কিছু করলে” ঐ বদ্ধ বাসের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পরতে পারবো অন্তত। রিকশায় চড়তে গিয়ে এরকম দুইবার হয়েছে। অন্যমনস্ক ভাবে যাচ্ছি, হঠাৎ গায়ের উপর থক থকে থুতুর ছিটকে পড়ায় চমকে উঠেছি! তীব্র অপমান আর ঘৃণায় কুঁকড়ে গেছে শরীর মন। যেন পুরুষের ঘৃণার লক্ষ্যবস্তু হয়ে আমি নিজের শরীরকেই ঘৃণা করতে শিখছি। পুরুষতন্ত্রে এটাইতো নারীর স্কুলিং। নিজের শরীর আর অস্তিত্বের ভার নিয়ে সর্বদা বিব্রত, লজ্জিত হয়ে উঠবার প্রথম পাঠ। ঐদিনের ঐ থকতকে থুতু আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে পাবলিক পরিসরে, পুরুষের দুনিয়ায় আমি অবাঞ্ছিত, অসহায়, অধস্তন। বাড়িতে এসে হাউমাউ করে কেঁদেছি কিন্তু অপমানের জ্বালা মেটেনি আজো।
পাবলিক পরিসরে যত ধরনের নারী বিদ্বেষী আচরন, যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছি তা লিখতে গেলে আরো বহু পাতাই খরচ হবে। যেসকল “তাত্ত্বিক” আমার নারীবাদ খারিজ করে দেন কোনদিন অর্থকষ্টে না থাকার দোষে, পাবলিক বাসে না চড়ার দোষে তাঁদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হয় তারাকি কখনো যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন? ধর্ষণের আতঙ্কে দিন পার করেছেন? প্রতিমুহূর্তে নিজের গতিবিধি, শরীরের উপর নজরদারী করেছেন? আপনার সার্বক্ষণিক সতর্কতা কি কখনো হিস্টিরিয়ার পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে নিজেকে প্রায় উন্মাদ মনে হয়েছে? যদি আপনাদের এমন হয়েও থাকে বা নাও হয়ে থাকে তবুও কারো কোন অধিকার নেই ‘বাপের গারীতে’ চড়ার দোষে আমার নারীবাদ খারিজ করার। মানলাম ‘বিত্তশালী/বুর্জোয়া’ নারী আমি। যারা নারীবাদ বলতে কেবল শ্রমজীবী, নিম্নবিত্ত নারীর অধিকার বোঝে তাঁরা না বোঝে পুরুষতন্ত্র না বোঝে নারীবাদ। তাঁদের নারীবাদ কোন শক্তিতে পৃথিবীর তাবৎ নারীকে(নির্যাতিতকে) একত্রিত করবে যদি শেষপর্যন্ত তাঁদের শ্রেণী ঘৃণার টার্গেট হয় একজন নারীই, (যে নির্যাতিত)? নারী ঘৃণা যে শ্রেণী ঘৃণার নামেও বৈধ হয় সেটা বোঝার মত সচেতন কি তাঁরা হতে পেরেছে? বুভোয়ার, নারীবাদী সাংবাদিক অ্যালিসের সাথে আলাপ কালে বলেছিলেন “…নারী একটি ‘নিচু জাত’, ‘জাত’ বলতে এমন একটি গোষ্ঠী বোঝায় যেখানে কেউ জন্মালে আর ঐ গোষ্ঠী থেকে বেরিয়ে আসা যায়না।… অর্থনৈতিক, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক জীবনে মেয়েরা এমন সব আচরন পেয়ে থাকে, যা তাঁদের সত্যি ‘নিচু জাতে’ পরিনত করে।” প্রেক্ষাপট ভেদে নিপীড়নের অভিজ্ঞতা ভিন্ন হলেও সমাজ সৃষ্ট ‘নিচু জাত’ হিসেবে কিছু সাধারন অভিজ্ঞতা নারীর আছে। পদ্ধতিগতভাবে ধর্ষণকে নারীর বিরুদ্ধে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নিয়ন্ত্রনের উপায় হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। নারীর অভিজ্ঞতার চোখ দিয়ে ইতিহাসের দিকে তাকালে বোঝা যাবে নারী ধর্ষণের সবচাইতে অসহায় শিকার ছিল, এখনো আছে। ‘বড়লোকের মেয়ে’ বলে কিন্তু ধর্ষণ, যৌন হয়রানীর আতঙ্ক থেকে আমি মুক্তি পাইনি। আমার ‘বাপের গাড়ীর’ চালকও কিন্তু পুরুষ। এবং আমি বিশ্বাস করি সকল পুরুষই সুপ্ত ধর্ষক। অনেকে বলে বুর্জোয়া নারী পুরুষ রিকশাওয়ালাকে চড় মারতে পারে কিন্তু গরীব রিকশাওয়ালা সেটা পারেনা। সেই বুর্জোয়া নারীকে বুকে হাত দিয়ে বলতে বলেন সে রিকশাওয়ালার কাছ থেকে যৌন হয়রানী, ধর্ষণের আশঙ্কা করেনা কিংবা এমন হয়না।
নারী ঘৃণা আজকাল নারীবাদীদের ঘৃণা পর্যন্ত প্রসারিত। এক একবার মনে হয় বাংলাদেশ ভূত দেখে, নারীবাদের ভূত। আরও স্পষ্ট করে বললে বলতে হয় র্যাডিকাল নারীবাদের ভূত। কিযে বিপদ নারীবাদীদের! যৌন হয়রানী, যৌন সহিংসা, ধর্ষণ নিয়ে কথা বললেই রটনা করা হয় ও র্যাডিকাল নারীবাদী, ও একপেশে কেবল যৌনতা দিয়ে সুবকিছু বুঝতে চায়! নারী প্রশ্নে, তাঁর শরীরের নিয়ন্ত্রনের প্রশ্নে আজো শিক্ষিত বাঙ্গালীর মনে কত ধরনের কুসংস্কার বিরাজ করে তাঁর প্রমান পাওয়া যায় এই ধারনায়। যৌন হয়রানী আর যৌনতা কি এক?! ধর্ষণ আর সঙ্গম কি এক?! সহিংসতা, অপমান আর প্রেম, ভালোবাসা কি এক?! যৌন হয়রানী, ধর্ষণের আলোচনায় যৌনতার সামাজিক নির্মাণ অবশ্যই প্রাসঙ্গিক। এই নির্মাণের পাঠ বাদ দিয়ে আমার মতে যৌন সহিংসতার পাঠ সম্পূর্ণ হতে পারেনা। বিশেষভাবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আমি মনে করি যৌনতার পাঠ, স্কুল কলেজে কোন দিন যদি যৌন শিক্ষা চালু করা হয় তা যৌন সহিংসতার ধারনার সাথে সম্পর্কিত ভাবেই হতে হবে। যে দেশে ‘নারীর হিতার্থে’ নিয়োজিত এনজিও গোষ্ঠী একটা মাত্র শারীর বিনিময়ে নারীকে সারাজীবনের নামে বন্ধ্যা করে দেয়, জন্ম নিয়ন্ত্রন পদ্ধতি গ্রহনের দোষে মৌলবাদীরা ফতোয়া দিয়ে একঘরে করে নারীদের, সেই দেশে নারীর আত্ন নিয়ন্ত্রনের প্রশ্নকে আরও বহুকাল বহু অন্ধকার মোকাবেলা করেই এগুতে হবে। নারীর শরীরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রনের প্রশ্ন বাদই দিলাম। যৌন সহিংসতার সুবিচার পাবার জন্যই অনেক কাল রাজনৈতিকভাবে লড়তে হবে।
বেগম রোকেয়ার মতে নারীকে নিয়ন্ত্রনে রাখতেই পুরুষতন্ত্র ধর্মগ্রন্থগুলোকে ঈশ্বর প্রেরিত আদেশপত্র বলে দাবি করেছে। তাঁর সময়ের অবরোধবাসিনীর ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন, যৌন সহিংসতার কথা তাঁর লেখায় একরকম নেই অথচ সে সময়ে কন্যা শিশুর বিয়ের দিব্যি চল ছিল। উপনিবেশিকরনের কথা তাঁর লেখায় এসেছে। অনেকসময় রূপক গল্পে। আজকের দিনে নারী যেখানে বিপুল মাত্রায় পাবলিক পরিসরে জড়িয়ে পরেছে তাঁর যৌন নিপীড়নের অভিজ্ঞতার প্রতিফলন তাই আর রোকেয়ার লেখায় দেখা যায়না। কিন্তু অবরোধবাসিনীর যৌন নির্যাতনের কথাও তাঁর লেখায় একরকম অনুপস্থিত। সেই হিসেবে তসলিমা আজকের দিনের নারীর জীবনের বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছেন অনেকখানি। রোকেয়া সাম্রাজ্যবাদ প্রসঙ্গে লিখেছেন, নারীর শিক্ষার মত কিছু দিক সর্বাধিক গুরুত্ব নিয়ে লিখেছেন। এইসকল দিক সহ তাই মুসলিম প্রধান দেশ বলে রোকেয়ার পর্দানশীল ভাবমূর্তির গ্রহণযোগ্যতা হয়তো অনেকেই রাজনৈতিকভাবে ব্যাবহার করতে চান। অপরপক্ষে তসলিমাকে নিয়ে নানান বিতর্ক থাকার অর্থ এইনা তসলিমার নারীবাদী চিন্তা পুরোপুরি ভুল, অগ্রহণযোগ্য। আমি মনে করি কোন বিশেষ এক বর্গের নারীবাদ, কোন এক বিশেষ সমস্যা সমাধানে নিবেদিত নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে আজকের বাংলার নারীর সকল সমস্যা চিহ্নিত হবেনা, সমাধানও হবেনা। পহেলা বৈশাখ, ফেব্রুয়ারীর বই মেলা, খেলায় জেতা বিজয় মিছিলে নারী যেমন যৌন হয়রানী, ধর্ষণের শিকার হয় তেমনি এটাও সত্য ঢাকা শহরে নারীর জন্য আলাদা বাস, পাবলিক টয়লেট, কর্মজীবী নারীর শিশুর পরিচর্যা কেন্দ্রও নেই।
নারীর বাস্তব জীবনের যৌন হয়রানীর অভিজ্ঞতা সহজ ভাষায় লিখলে তসলিমা সাহিত্যিক পদবাচ্যেরই কেউ হন না। অথচ যৌনতার ইতিহাস লিখে ফুকো আমাদের কাছে বড় তাত্ত্বিক। ব্রাউনমিলার ধর্ষণ নিয়ে লিখে আমাদের কাছে হন র্যাডিকাল নারীবাদীর মত ঘৃণ্য বর্গ অথচ পুরুষ ধর্ষণ বিরোধী আন্দোলনে হাজিরা দিয়েই হতে পারেন নারীবান্ধব হিরো। শরীরে, মনে জড়সড়, আতঙ্কিত করে রাখার ব্যবস্থা এই সমাজ সকল বর্গের নারীর জন্য করেছে এই বিষয়ে আমি সচেতন। আর পুরুষের লিঙ্গান্ধতা সচেতন আমার বিয়ে করা না করা, সমকামী হওয়া না হওয়া, সাজগোজ করা না করা, ‘বড়লোকের মেয়ে, বউ’ হওয়া না হওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে, নানান অজুহাতে আমার নারীবাদকে খারিজ করতে। আমরা সবাই একটু ভালো করে তাকাই। ঐ এসি গাড়ীর কাঁচ ভেদ করে কারো বউ না, মেয়ে না মানুষ দেখতে পাবো। আরও ভালো করে তাকালে হিন্দি সিরিয়াল, পাকিস্তানী লন, ব্যাংস কাট আর হট পিংক লিপস্টিকের পেছনে একটা মনও দেখতে পাব। সেখানে আশঙ্কা আছে, অপমান আছে, বিচ্ছিন্নতার কষ্ট আছে, ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে চলার ক্লান্তি আছে, দীর্ঘশ্বাস আছে। এটা যারা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করেনা তাঁদের জন্য করুনা ছাড়া কিছু নাই আমার। কামনা করি সকল বর্গের নারীবাদ পুরুষতন্ত্র বিরোধী সংগ্রামে শরিক হোক। আমি বিশ্বাস করতে চাই সেটাই সুলতানার স্বপ্নের মূলমন্ত্র ছিল।
হাবিবা নওরোজ একজন আলোকচিত্রী
Categories: আন্দোলন বার্তা, বাংলাদেশে নারীবাদ, যৌন নিপীড়ন ও প্রতিরোধ
Leave a Reply