সর্বনামের রাজনীতি ও ইংরেজি ব্যাকরণে পুরুষতন্ত্রের স্বরূপ

দ্বৈপায়ন আজাদ

ফ্রান্সিস বেন/নিউ ইয়র্ক টাইমস

When we choose our pronouns we are inevitably making political statements.

Elizabeth Sklar
The Tribunal of Use

কবি যা-ই বলুক, নাম অর্থহীন নয়। নামে অনেক কিছুই আসে যায়। নামের ও নামকরণের পেছনে অনেক রাজনীতি ও অনেক শক্তি সম্পর্ক কাজ করে। এমনকি, সর্বনামও   নির্দোষ নয়। ইংরেজির ব্যক্তিবাচক সর্বনামগুলোর ইতিহাস, পরিবর্তন ও তাদের পেছনের রাজনীতি লক্ষ্য করলে পরিষ্কার হবে যে, সর্বনামেও অনেক কিছু আসে যায়। ইংরেজি সর্বনামগুলো অনেক পথ পাড়ি দিয়েছে, অনেক রকম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। এই পরিবর্তনের পেছনে অনেক রাজনীতি, অনেক আন্দোলন, অনেক মানুষের শ্রম ও ক্রন্দন জড়িয়ে আছে। এ লেখায় প্রথমে আমরা সর্বনামের ইতিহাস দেখব, তারপর রাজনীতি।

ভাষা সৃষ্টিতে যদিও বিশেষ্যের জয়জয়কার, তবে সর্বনামও ফেলনা নয়। অসংখ্য নামহীন বস্তুর পৃথিবীতে ‘এটা’, ‘ওটা’ খুব কাজের বস্তু। সর্বনাম তাই বিশেষ্যর মতই প্রাচীন। এমনই একটি আদিম সর্বনাম হলো he। এটি অতি প্রাচীন প্রোটোইন্দোইউরোপিয় সর্বনাম *ko থেকে আসা, যা ‘এটা'(this), ‘এখানে’ (here) বোঝাতো। অন্য ইন্দোইউরোপিয় ভাষায়ও এটি আছে, হয়ত কিঞ্চিৎ ভিন্ন উচ্চারণে। যেমন, ওল্ড স্যাক্সন, ওল্ড ফ্রিজিয়ানে he বা hi ও ডাচ hy। ওল্ড ইংলিশে he পুরুষবাচক সর্বনাম হিসেবে ছিলো এবং heo ছিলো স্ত্রীবাচক। ওল্ড ইংলিশে she ছিলো না।  she ওল্ড ইংলিশে বারশ শতকে দেখা দেয়। she কোন ভাষিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য আবির্ভূত হয় তা আমরা জানি। অক্সফোর্ডের ভাষ্যমতে, এ সময়ে বিভিন্ন উপভাষার উচ্চারণের বিচিত্রিতার জন্য he আর heo কে আলাদা করা যাচ্ছিলো না। তাই সহজে পার্থক্য করা যায় এমন একটি নারীবাচক সর্বনামের প্রয়োজন দেখা দিয়েছিল এই বিভ্রান্তি দূর করার জন্য। কিন্তু she তো এক সুন্দর সকালে আকাশ থেকে টপ করে পড়েনি। এটি আসলো কোত্থেকে?

অনেকগুলো থিয়োরি আছে। সবচে প্রাচীণ ও বহুল প্রচারিতটি প্রথমে দেখা যাক। ওল্ড ইংলিশে আরও এক সেট ব্যক্তিবাচক সর্বনাম ছিলো। এরমধ্যে,  se পুরুষবাচক ও seo নারীবাচক। অনেকের ধারণা এই seo ই আর্লি মডার্ন ইংলিশে এসে she হয়েছে। এই থিয়োরির সমস্যা হচ্ছে, নেটিভ ইংলিশের উচ্চারণ স্বভাব অনুযায়ী se থেকে sh হওয়া অসম্ভব। দ্বিতীয় থিয়োরি হচ্ছে she আসলে heo আর seo র হাইব্রিড। এটিও ধোপে টিকে না কারন মিডল ইংলিশে আসার আগেই seo ভাষা থেকে হারিয়ে গেছে, অন্তত she  কে প্রথম যে অঞ্চলে দেখা গেছে সেখান থেকে। তৃতীয় যে থিয়োরিটা আছে সেটার স্বপক্ষে কিছু প্রমাণ ভাষায় হাজির আছে। এই থিয়োরি অনুসারে, ভাইকিংদের প্রভাবে এই পরিবর্তন হয়েছে। আরও ভেঙে বলতে গেলে, নর্সদের উচ্চারণে heo ক্রমে scheo ও sche  এবং আরও পরে sho ও she  হয়ে যায়। George T. Flom  দেখিয়েছেন, এ ধরনের ভাষা প্রবনতা তাদের মধ্যে বিরাজমান ছিলো। অক্সফোর্ডও সাক্ষ্য দিচ্ছে,  heo এর পরিবর্তে she যে অঞ্চলগুলোতে প্রথম দেখা গিয়েছিলো সে অঞ্চলগুলোর উপভাষা ও জায়গার নামে স্ক্যান্ডিনেভীয় উপাদান ছিলো।

she র ইতিহাস এটুকুই। তবে  she এসে ভালোই হয়েছিলো কারণ, heo শুধু নারীবাচক সর্বনামই ছিলো না, একইসাথে এটি  they  ও বোঝাতো। she কে (heo-র মতো) এত মাল্টিটাস্কিং করতে হতো না। তবে সময়ের সাথে she র অর্থ ও ব্যবহার বেড়েছে যার  কিছু ভিষন আপত্তিকর। ষোড়শ শতকের প্রথমদিকে she বিশেষ্য হয়ে যায় ও নারী বোঝানো শুরু করে। এরপর  she  উপসর্গ হিসেবে বিভিন্ন প্রানীর নারী প্রজাতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয় যেমন,  she-ass, she-dragon বা  she-wolf ইত্যাদি। এখানেই শেষ নয়, জয়গুনির কপালে আরও দুঃখ আছে! এরপর she জাহাজ, ঘোড়ার গাড়ি, কামান, বন্দুক, চাঁদ, সাগর, শহর, দেশ ইত্যাদির পরিবর্তে ব্যবহৃত হওয়া শুরু হয়।

কেন? এর কারণ খুঁজতে গেলে ভাষার লিঙ্গবিষয়ক আলোচনায় যেতে হবে। কিছু ভাষায় বিশেষ্যগুলো পুংলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গে বিভক্ত, তারা জীব বা জড় যা-ই হোক না কেন! একে গ্রামাটিকাল জেন্ডার বলে। এর নির্দিষ্ট কোন তালিকা নেই। ভাষাভেদে তারা পাল্টায়। যেমন, ‘টেবিল’ ফরাসিতে স্ত্রীলিঙ্গ কিন্তু জার্মানে পুংলিঙ্গ। স্প্যানিশে ‘সূর্য’ পুংলিঙ্গ, ‘চা্ঁদ’ স্ত্রীলিঙ্গ। কিন্তু জার্মানে এর উল্টা। আবার, স্প্যানিস ও ফরাসিতে টেলিভিশন স্ত্রীলিঙ্গ ইত্যাদি। ইংরেজিতে গ্রামাটিকাল জেন্ডার নেই। এখানে জড়বস্তু ক্লীবলিঙ্গ বলে ধরা হয় এবং ক্লীবলিঙ্গের জন্য নির্ধারিত সর্বনাম (it) ব্যবহৃত হয়। তাই, ইংরেজিকে আপাতদৃষ্টিতে লিঙ্গনিরপেক্ষ মনে হয় ও ধরা হয়। কিন্তু ইংরেজিতে আরও আপত্তিকর একটা ব্যাপার আছে। এ ভাষায় ক্লীবলিঙ্গের অন্তর্ভুক্ত অনেক বস্তুকে(inanimate objects) ‘মেয়েলি'(feminine) আর কিছুকে ‘পুরুষালী'(masculine) বলে ভাবা হয় এবং তাদের ক্ষেত্রে আবার ব্যক্তিবাচক সর্বনাম (she, he) ব্যবহৃত হয়। ব্যাকরণ রচয়িতারা এই বিভাজনকে ব্যাখ্যা করেছেন, এবং সুত্রে লিপিবদ্ধ করেছেন। জাহাজকে যে she বলতে হবে- এমনকি জাহাজের নাম পুরুষের নামে হলেও- তার প্রথম ব্যাকরণিক নির্দেশ দেন বেন জনসন তার ১৬৪০ এর বই English Grammar এ। তিনি লেখেনঃ

we say, shee sayles well, though the name be Hercules, Henry, the Prince”

১৭৮৪ সালে An essay Towards an English Grammar এ John Fell লেখেন:

The passions must be determined according to their different natures: the fiercer and more disagreeable are masculine- the softer and more amiable are feminine. Mind is masculine, soul feminine; for the latter term more of the affections are frequently implied than in the former. The sun is masculine, the moon feminine, the heaven neuter- the earth is feminine, mountains and rivers are commonly masculine; countries and cities are feminine- and nature, as comprehending all, is feminine.

Fell এর ভাষ্য মতে, তিনি এই বিভাজনটি তৈরী করেছেন তখনকার ‘শ্রেষ্ঠ’ লেখকদের (যাদের সবাই পুরুষ) চর্চা থেকে এবং তখনকার জুডিওক্রিস্চিয়ান সমাজে লিঙ্গ-ভুমিকার যে স্টেরিওটাইপগুলো ছিলো তার সাথে মিল রেখে। এর কিছুকাল পরে, ১৭৯৫ সালে Murray লিঙ্গ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণে প্রায় এই দৃষ্টিভঙ্গির পূনরুৎপাদন ঘটানঃ

Figuratively, in the English tongue, we commonly give the masculine gender to nouns which are conspicuous for the attributes of imparting or communicating, and which are by nature strong and efficacious. Those, again, are made feminine which are peculiarly beautiful or amiable. Upon these principles the sun is always masculine, and the moon, because the receptacle of the sun’s light, is feminine.

তবে বর্তমান সময়ের পৌরুষের ধারণার সাথে মানানসই তত্বের জন্ম দেন আলেকজান্ডার বেইন। তিনি ১৮৭৯ সালে লেখেন, পুংলিঙ্গ ঐ বস্তুসমূহের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়, যারা

remarkable for strength, superiority, majesty, sublimity

সালগুলো লক্ষ্য করা প্রয়োজন, কারণ এতে করে পুরুষতান্ত্রিক চিন্তার ঐতিহাসিক ব্যাপকতা ধরা পড়বে। ১৯৫৩ সালের পর আবহাওয়াবিদরা আটলান্টিকে উৎপত্তি হওয়া হারিকেনগুলোকে শুধু নারীদের নামে নামকরণ করা শুরু করলেন। শুধু তাই নয়, খবরে এই হারিকেনগুলোকে ‘ছেনাল’ ও ‘আবেদনময়ী’ নারীর মত বর্নণা করা হত। দু’একটা উদাহরণ দিলে এই প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোকে কি পরিমাণে যৌনকরন করা হত, তার মাত্রা বোঝা যাবেঃ

১. Celia wasn’t as big as some of her older sisters.

২. Blanche, perfectly formed…
… flirting with the Florida coastline

জড় বস্তুকে ব্যক্তিরূপে কল্পনা ও ব্যক্তির সর্বনাম প্রয়োগের এই ব্যাপারটিকে মেটাফরিকাল জেন্ডার বলে। ব্যাকরণে থাকলেও ব্যাপারটি নিরিহ হয়। নারীবাদীরা এর বিরুদ্ধে সজাগ ও সরব ছিলেন।  সত্তুরের দশকে তারাই চাপ সৃষ্টি করে এই চর্চাটির অন্ত ঘটান। এখন হারিকেনের নাম পাল্টাপাল্টি করে পুরুষ ও নারীর নামে রাখা হয় যার সুত্রপাত হয় ববের (Hurricane Bob) মাধ্যমে ১৯৭৯ সালে।

জমির (পৃথিবী, দেশ, জাতি ইত্যাদি) নারীকরণের বিষয়েও নারীবাদীরা সোচ্চার ছিলেন। তারা দেখিয়েছেন জমির নারীকরণ মোটেই নির্দোষ বিষয় নয়। এটি নারীকে প্যাসিভ হিসেবে উপস্থাপন করে। এর পেছনে পুরুষতান্ত্রিক দখলদারির মানসিকতাও জারি আছে। অনেক পরে হলেও এই সমালোচনা মোটামুটি কাজ দিয়েছে। Chicago Manual of Style  ‘her’ এর ব্যবহার নিয়ে লিখেছে:

Do not use this pronoun in reference to nations, ships or storms, except in quoted matter. Use it instead.

এসোসিয়েটেড প্রেস ও নিউ ইয়র্ক টাইমস জাহাজের ক্ষেত্রে নারীবাচক সর্বনাম ব্যবহৃত বাদ দিয়েছে। তবে Royal Navy ও US Navy এখনো তাদের জাহাজকে she বলে রেফার করে। অবশ্য সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। জড় বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যক্তিবাচক সর্বনামের ব্যবহার এখন অনেকটাই পুরনো ও কাব্যিক। ফরমাল লেখায় এটাকে নিরুৎসাহিত করা হয়।

লক্ষ্য করার বিষয় হলো, ইংরেজি ব্যাকরণ জড়কে ব্যক্তিবাচক সর্বনাম দেয় কিন্তু প্রানীদের ক্ষেত্রে বস্তুবাচক সর্বনাম ব্যবহার করে। অনেক আন্দোলন, অনেক চিল্লাচিল্লির পরেও। সাধারণ কারণটা হচ্ছে, প্রানীদের লিঙ্গনির্ধারণ মানুষের জন্য ঝামেলার। যেমন, একটা উড়ন্ত পাখিকে দেখলে আমাদের পক্ষে তো বোঝার কথা না এটা he নাকি she, তাই it বলাই সহজ। কিন্তু উদ্দিষ্ট প্রানীটির লিঙ্গ জানা থাকলে, সে আমদের পোষা হলে, তার একটি নাম থাকলে, তার লিঙ্গ অনুযায়ী he বা she ব্যবহার করা যেতে পারে। বিষয়টি বোঝার জন্য নিচের বাক্যগুলোর দিকে তাকাইঃ

১. I have a dog, Toby. He is gentle.

২. If you find a dog without a license, please bring it to one of our shelters.

নিয়মটি কঠোরভাবে পালিত হতো, এখনো হয়। গত শতাব্দীর ষাটের দশকের শুরুতে  নৃবিজ্ঞানী Jane Goodall  শিম্পাঞ্জিদের উপর একটি পেপার জমা দেন যেখানে তিনি শিম্পাঞ্জিদের he, she ও who  দিয়ে রেফার করেন। কিছুদিনের মধ্যেই এটি তার কাছে ফেরত আসে,  সর্বনামগুলো পাল্টে it ও which করে দেওয়ার অফিসিয়াল নির্দেশ সহ।

এ গোয়ার্তমির কারণ অনেক গভীর ও প্রাচীণ। এর সাথে জড়িয়ে আছে প্রানীদের সম্পর্কে আমাদের নিজস্ব ভাবনাচিন্তা। এর একদিকে আছে দার্শনিক রেনে দেকার্তের মতো মানুষরা যারা মনে করতেন, প্রাণীরা আসলে automatons বা আত্ননিয়ন্ত্রিত মেশিন। তারা মোটেই মানুষের মত চেতনাশীল সত্তা না। এ ধারনাটি প্রজাতিবাদের (speciesism) অন্তর্গত। প্রজাতিবাদ মানে প্রজাতিদের মধ্যে বৈষম্য বা এক প্রজাতিকে অন্য প্রজাতি থেকে আলাদা বা শ্রেষ্ঠ ভাবা। “মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব”- এ ধারণাটিও প্রজাতিবাদী।

অন্যদিকে আছে প্রাণীঅধিকার কর্মী ও অন্যরা যারা চায় মানুষ ও অন্য প্রানীর মধ্যে এই সর্বনামের পার্থক্য ঘুচে যাক। যারা মনে করেন প্রজাতিবাদী ধারণা থেকে সরে এসে মানুষের উচিৎ প্রানীদের সাথে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে নতুন করে ভাবা, যেখানে ভাষা পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তেমনি একজন হলেন Oxford Centre for Animal Ethics  এর ডিরেক্টর  Andrew Linzey যিনি বলেনঃ

We must not be able to think clearly unless we discipline ourselves to use appropriate language that reflects our proper moral relations with animals.

People for the Ethical Treatment of Animals (PETA)-র কমিউনিকেশনস প্রধান Anna West ২০০৭ সালে Associated Press (AP) এর এডিটরকে এক চিঠিতে সর্বনামের বিষয়টিতে জোর দিয়ে লেখেনঃ

As the essential global news network, the Associated Press (AP) should take progressive step and give animals the respect that they deserve by revising AP style guidelines to reflect the usage of personal pronouns for all animals.

২০১৩ সালে change.org  ও প্রানীদের ক্ষেত্রে  he/ she ব্যবহারের জন্য পিটিসন করেছিলো।

ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট Brandon Keim লেখেনঃ

The customary pronoun for animal is it. And it’s a custom that deserves to be or buried……I never use ‘it’ to refer to a conscious being.

কিন্তু এত করেও মেইনস্ট্রিমে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন আসে নি। বিভিন্ন প্রানী অধিকার গ্রুপ ও বিভিন্ন লেখক আলাদাভাবে এই চর্চাটি চালু রেখেছেন।

ইংরেজি মূলত জার্মান ভাষা হলেও এর ব্যাকরণের নিয়মগুলো এসেছে ল্যাটিন থেকে। ল্যাটিনের নিয়ম ইংরেজিকে শাসন করে গেছে এবং এখনো করছে। ক্ষতি হয়েছে এতে। ভাষার স্বাভাবিক বিকাশ ব্যাহত হয়েছে এবং এখনো হচ্ছে। প্রসঙ্গত, সংস্কৃত ব্যাকরণের দাপটে বাংলার অন্তস্থিত মুন্ডা ভাষার স্বভাবও একইভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

ইংরেজি ভাষাকে ল্যাটিনের সাথে জুড়ে দেবার কৃতিত্ব ইংরেজির প্রথম দিকের ব্যাকরণ লেখকদের। ইংরেজি ভাষার প্রথম দিকের ব্যাকরণ বইগুলো ব্যাপক মাত্রায় androcentric বা পুরুষ-কেন্দ্রিক। ব্যাকরণের পাশাপাশি তারা লাগাতার পুরুষের মহিমা ও পুরুষ-কেন্দ্রিক বিশ্বরূপ প্রচার করে গেছে। এর ভুরিভুরি প্রমান তাদের বিধানগুলোতে রয়ে গেছে।

প্রথমদিকের ব্যাকরণগুলো পুরুষরা লিখেছেন, পুরুষদের জন্য। নারীশিক্ষার প্রয়োজন তখন মাত্র সমাজের কিছু পকেটে দেখা দিয়েছে। নারীশিক্ষার আয়োজন শুরু হতে তখনো অনেক বাকী। অনেক পুরুষই তখনো নারীশিক্ষাকে সময় ও অর্থের অপব্যয় মনে করতেন। তখনকার ব্যাকরণের ভাষা লক্ষ্য করলেই আমরা নিশ্চিত হব এর লক্ষ্য পুরুষ। যেমন, Daniel Duncan ১৭৩১ এ প্রকাশিত New English Grammar  এ parts of speech এর সংজ্ঞায় বলছেনঃ

Men, to express their thoughts make use of eight Kinds of Words, called the eight Parts of Speech.

ইংরেজি ব্যাকরণবিদদের মধ্যে উইলসনই প্রথম ব্যাকরণের সূত্রে প্রথম পুরুষতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা দেন। বাক্যে পুরুষ ও নারী থাকলে তার মতে পুরুষ সামনে বসবে, নারী পরে। তার মতে এটাই ‘স্বাভাবিক ক্রমবিন্যাস’ ( natural order) বরং নারীকে সামনে বসালে “ঘোড়ার আগে গাড়ি জুড়ে দেবার” মত ব্যাপার হবে। অন্যত্র তিনি পুরুষকে সামনে বসাবার কারণ হিসেবে বলেন, পুরুষরা ‘অধিকতর মূল্যবান’ (worthier):

“the worthier is preferred and set before. As a man is sette before a woman.”

এই পুংগর্বী মানসিকতাই প্রায় একশ বছর পর ১৬৪৬ এ Poole র বইয়ে আরো ঝকঝকে সুত্র হয়ে দেখা দিলঃ

The Relative agrees with the Antecedent in gender, number, and person. . .The Relative shall agree in gender with the Antecedent of the more worthy  gender: as, the King and the Queen whom I honor. The MIasculine gender is more worthy than the Feminine.

পুংলিঙ্গ সম্পর্কে এই উচ্চ ধারণা ভাষায় পরবর্তীতে আরও অনেক সমস্যার জন্ম দিয়েছে। এই ব্যাকরণ রচয়িতাদের একটি প্রধান আক্ষেপ ছিলো ইংরেজি ভাষায় থার্ড পারসন সিংগুলারে কোনো লিঙ্গনিরপেক্ষ(epicene) সর্বনাম নাই: পুরুষের জন্য আছে he আর নারীদের জন্য আছে she। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, they লিঙ্গনিরপেক্ষ সর্বনাম হিসেবে সেই সময়ে কথায় ও লেখায় প্রচলিত ছিলো। গত কয়েক শতাব্দীর ইংরেজি সাহিত্য থেকে গন্ডায় গন্ডায় সিংগুলার they র উদাহরণ পাওয়া যায়। এই বাস্তবতাকে অগ্রাহ্য করে  Kirby প্রথম ১৭৪৬ সালে he কে লিঙ্গনিরপেক্ষ সর্বনাম হিসেবে ব্যবহারের  জন্য নিয়ম তৈরী করেন। কেন? কারণ, he বললেই নাকি she বোঝায়-

The masculine Person answers to the general Name, which comprehends both Male and Female; as Any Person, who knows what he say.

এটাই সেক্সিষ্ট ও এক্সক্লুসনারি he র জন্মকথা। এরপর আসে সিংগুলার they র উপর আক্রমণ। ১৭৯৫ সালে Murray প্রথম সিংগুলার they কে ভুল বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘Can  any one, on their entrance into the world, be fully secure that they shall no deceived?’  বাক্যটিতে ‘on their entrance’ এর স্থলে ‘on his entrance,’ এবং ‘that they shall’ এর জায়গায় ‘that he shall’ হবে।

Beattie ১৭৮৮ সালে তার ভাষার (The Theory of Language) বই ভরিয়ে তোলেন পুরুষের লৈঙ্গিক শ্রেষ্ঠত্বের জয়গানে। সেইসাথে তিনি দেখান কিভাবে ইয়োরোপ শ্রেষ্ঠ ঐ ‘মূর্তিপূজারী জাতিসমূহ’ থেকে যারা পরমকে নারীর নামে ডাকেঃ

…the male being, according to our ideas, the nobler sex. But idolatrous nations acknowledge both male and female deities; and some of them have given even to the Supreme Being a name of the feminine gender.

James Harris তার ভাষা দর্শনের বইয়েও পুলিংঙ্গের প্রশংসার জোয়ার বইয়ে দেনঃ

The Supreme Being (God,..) is in all languages Masculine, in as much as the masculine Sex is the superior and more excellent; and as He is the Creator of all, the Father of Gods and Men.

ব্যাকরণের এত বিধানের পরও মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছিলো he বললে তা একইসাথে  she বোঝাবে কিনা। ১৮৪৫ সালে আমেরিকায়  এবলিশনিস্ট বা দাসপ্রথা বিলুপ্ত আন্দোলনের দুজন  Lysander Spooner ও Wendell Phillips এর মধ্যে অনেক বিতর্ক হয়েছে নারীরা প্রেসিডেন্ট হতে পারবে কিনা – এ নিয়ে।  Spooner এর মত ছিলো পারবে না, কারণ সংবিধানে প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে he সর্বনাম ব্যবহৃত হয়েছে এবং he পুরুষকে বোঝায়। Phillips, অন্যদিকে, দাবী করেছেন নারীরাও প্রেসিডেন্ট হতে পারবে কারন “In grammars, as well as law, the rule used to be, that the masculine pronoun and the word ‘man’ included the race..”

১৮৫০ সালে বৃটেনে ‘লিঙ্গনিরপেক্ষ’ ওরফে সেক্সিষ্ট he আইনি রূপ পায়। আইনটি বলেঃ

in all acts words importing the masculine gender shall be deemed and taken to include females. [3Victoria.ch.21,sec 4]

আমেরিকায় একই রকম আইন হয় ১৮৭১ সালে। ফেডারেল ল’টি পাশ হওয়ার আগেই অবশ্য ইলিনয় রাজ্যে জেনেরিক  he র আইন চালু হয়। ১৮৬৯ সালে Chicago Tribune এ অনাম্মী একজন একটি লেখায় দাবী করেন, যদিও ইলিনয়ের সংবিধান অনুযায়ী শুধু  white male citizen দেরই ভোটের অধিকার আছে, আইনত নারীরাও অফিস আদালত, ও সরকারে কাজ করতে পারবেন, কারণ রাজ্যের আইন অনুসারেঃ

where any party or person is described or referred to by words importing the masculine gender, females as well as males, shall be deemed to be included.

আইনে যদিও বলা হল he র মধ্যে she আছে কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, এ আইনটিকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে পাঠ করা হয়েছে। she কে বাদ দেওয়া হচ্ছে বললে বলা হত, he র মধ্যেই  she আছে। কিন্তু যখনি নারী অধিকার, বিশেষকরে, চাকুরী, ভোটাধিকার ইত্যাদি বিষয় আসত, তখন বলা হত he মানে শুধু he।

যেমন, ১৮৮১ সালে যখন Belva Lockwood যখন ম্যারিল্যান্ড বারের সদস্য হবার জন্য আবেদন করেন রাজ্যের আইন অনুযায়ী যে,

that the masculine shall be held to include all genders except where such constructions would be absurd and unreasonable.

কোর্ট তার আইন চর্চার অনুরোধ বাতিল করে কারণ হিসেবে বলে:

it would be ‘absurd and unreasonable’ in the exact words of the code, to apply the pronouns ‘he’ and ‘him’ to a woman. [Detroit Free Press 13 May, 1881, p. 4]

১৯০২ সালে ম্যারিল্যান্ড সুপ্রিম কোর্টে একই রকম পিটিশন করে একই রকমভাবেই প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন নারীরা। কিন্তু ঐবার এক ক্ষ্যাপাটে আইনপ্রনেতা আইনের ভাষায় পরিবর্তন আনলে সে বছরই প্রথম নারী আইনজীবী ম্যারিল্যান্ড বারে ঢোকার অনুমতি পান। তবে আইনের ভাষা পরিবর্তন করা সহজ, মানুষের দৃষ্টিভংগী পরিবর্তন এত সহজ নয়। নারীরা তাদের নিজেদের পেশাদার গ্রুপ তৈরী করতে হয়েছিল, কারণ Maryland Bar Association ১৯৫০ এর আগ পর্যন্ত নারীদের ঢুকতে দেয়নি।

নারীদের ভোটাধিকার নিয়ে যারা কাজ করে তারা বারবার চেষ্টা করেছে জেনেরিক he র নিয়মটি ব্যাবহার করে নারীদের ভোটাধিকার আদায় করতে। ১৮৮৮ সালে  সমঅধিকার পার্টির সদস্য এনা জনসন নিউ ইয়র্কের নির্বাচন ব্যুরোর প্রধানকে জানান যে শহরের ভোটের আইন অনুসারে নারীরাও ভোট দিতে পারেনঃ

The English language is destitute of a singular personal pronoun, third person, of common gender; but usage sanctions the employment of ‘he,’ ‘him’ and ‘his’ as of common gender. Therefore under ‘he’ women can certainly register. [New-York Tribune, 26 Oct., 1888, p. 4]

কোন লাভ হয়নি। তাকে এবং একই যুক্তি দেখানো আরও অনেক নারীকে ভোটকেন্দ্র থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো।

বিষয়টি নিয়ে Baltimore Sun  এর দ্বিচারিতাও লক্ষ্যনীয়। ১৯০৯ সালে একজন নারী যখন ম্যারিল্যান্ডের স্টেট লাইব্রেরীর লাইব্রেরিয়ান নিযুক্ত হন, পত্রিকাটি বিষয়টিকে স্বাগত  জানায়। একই বছর রাজ্যের নির্বাচন বোর্ড রায় দেয় নারীরা ভোট দিতে বা নির্বাচনে দাঁড়াতে পারবে না। তাদের বিবেচনায় নারীর আইন প্রনেতা হওয়া “সংবিধান অক্ষর” ও “স্পিরিটের” সাথে যায় না।

একই সালে ডেনভারের বাসিন্দা সারাহ ডেকার নির্বাচনে দাঁড়াবার ইচ্ছা জানালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিয়ন থেকে উত্তর পান:

Strict adherents to the letter of the Constitution maintain that the presence of the masculine pronoun, and the absence of any other, obviously renders ineligible any person of the feminine persuasion. [Rpt. in The Baltimore American, 7 Aug., 1909, p. 8.]

তার নির্বাচন বাসনার সলিলসমাধি ঘটে। তবে নারীরা দমে যাবার পাত্র নয়। ১৯১৬ সালে জেনেট র‍্যানকিন মনটানায়  নির্বাচনে শুধু অংশই নেন নি, জিতেও আসেন। এবার প্রশ্ন উঠল সর্বনামের ঝামেলার কারণে তিনি চেয়ারে বসতে পারবেন কিনা! সকল সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে তিনি বসলেন। কিন্তু সমাজ এ বিষয়ে কোন ঐক্যমতে পৌঁছালো না।

১৯৩০ এর দশকে শুরু হওয়া usage studies র লেখক, এডিটরদের নিয়ে গড়া প্যানেল সিংগুলার they কে সঠিক বলে রায় দিয়েছে।

এত কিছু করেও কিছু হয় নি। ব্যাকরণবিদদের লেখায় কোন পরিবর্তন আসে নি।  ব্যাকরণবিদরা এসব বাস্তব ঝামেলা থেকে অনেক দূরে। তাদের কাজ ছিলো: (১) ইংরেজিতে থার্ড পারসন সিঙ্গুলারে একটি লিঙ্গনিরপেক্ষ সর্বনাম নাই বলে হাহাকার (২) he দিয়ে এই অভাব পূরণের কথা বলা (৩) they কে শুধুমাত্র বহুবচন বলে প্রচার করা এবং (৪) he or she কে clumsy বা pedantic ঘোষণা করা।

Ann Bodine গত শতকের সত্তুরের দশকের জুনিয়র ও সিনিয়র হাই স্কুলের ৩৩ টি গ্রামার বই সার্ভে করে দেখেছেন। সার্ভেতে দেখা গেলো এর মধ্যে ২৮ টিই he or she কে clumsy বলে বাতিল করে এবং they কে ভুল বলে। তারা আগের ব্যাকরণ বইকে, তার পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভংগীকে চ্যালেঞ্জ না করে বরং সেই পুরান জিনিষই পূনরুৎপাদন করে গেছে। রবার্টস তো দাবী করেন, ব্যাকরণগতভাবে পুরুষরা নাকি নারীদের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণঃ

English has a problem in that it has no common gender… [in the third  person singular]. .. The most awkward solution is to use both the masculine  and the feminine pronoun: ‘Everyone should raise his (or her) hand when  he (or she) is ready.’ We usually try to avoid this by following the convention  that, grammatically, men are more important than women. For reference to  mixed groups, we use just the pronoun he. ‘Everyone should raise his hand  when he is ready’ (Roberts I967: 354-5).

Elizabeth Sklar জানাচ্ছেন, ১৭৫০ থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০০ ব্যাকরণ বই লেখা হয়েছে। তাদের স্যাক্সিস্ট গ্রামার বলা হয়েছে। কারনে কারনেই। এই ব্যাকরণ বইগুলো ইংরেজি ভাষাকে ধরেবেঁধে ইংরেজি ভাষাকে ‘পুরুষায়িত’ করেছে। ভাষাকে ‘অবক্ষয়’ থেকে ‘বাঁচানোর’ নামে সামাজিক ক্রমবিন্যাস (social order) যাতে পরিবর্তন না হয় সেই চেষ্টা হয়েছে। মনে করা হয়, তখনকার সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের জন্য এ রকম একটা পুরুষালী ভাষার প্রয়োজন ছিলো। তাছাড়া, টেরি ইগলটন দেখিয়েছেন, ভয় পাওয়া (threatened) অভিজাততন্ত্র  ব্যাকরণের মধ্যে দিয়ে নিজেকে আলাদা করে তার সম্মান বাঁচাতে চায়। সেক্সিষ্ট গ্রামার ইংরেজি ভাষার এই পুরুষালী চেহারাটি তৈরী করে দিয়েছে। পরবর্তীতে যারা এসেছেন তারা এই পুরুষ-কেন্দ্রিক দৃষ্টিভাংগীকে চ্যালেঞ্জ না করে, বাস্তবে মানুষ কি ভাষা ব্যবহার করছে না তা না দেখে, প্রথমদিকের ব্যাকরণ বইগুলোর ট্রেডিশনের ভিতরে থেকেই বই উৎপাদন করেছেন, আর ভুল ইতিহাসে ভরিয়ে তুলেছেন টেক্সটবুকগুলো। এই আদর্শের শহীদ অতিবিখ্যাত E. B. White ১৯৭৯ সালে এসেও দাবী করেনঃ

The use of he as pronoun for nouns embracing both gender is a simple, practical convention rooted in the beginning of the English language. He has lost all suggestion of maleness in these circumstances. The word was unquestionably biased to begin with (the dominant male), but after hundreds of years it has become seemingly indespensible. It has no pejorative connotation; it is never incorrect. Substituting he or she in its place is the logical thing to do if it words. But it often doesn’t work, if only because repetition makes it sound boring and silly.

এ লেখায় ইতোমধ্যে দেখানো হয়েছে, he দিয়ে নারী পুরুষ উভয়কে বোঝানোর কাজটা সেক্সিষ্ট গ্রামার লেখকদের কাজ এবং ইংরেজি ভাষার বয়স ৩০০ বছর না, অন্তত ১৫০০ বছর, তাই ‘ইংরেজি ভাষার শুরুতে’র কথা বলা হাস্যকর। he থেকে পুরুষত্ব ধুয়েমুছে চলে যায় নি। তাছাড়া,  he অপরিহার্য নয়। তিনি আরো বললেন,  he ‘চলে না’- কার মতে? he যদি ‘বিরক্তিকর’ ও ‘হাস্যকর’ হয়, one or more আর person or persons এর মতো এক্সপ্রেসনগুলো ভাষায় থাকে কি করে?

আশার কথা, এই অচলায়তনেও পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। গত শতকের আশি ও নব্বুইয়ের দশক থেকে টেক্সটবই ও অভিধানের ভাষায় পরিবর্তন এসেছে। ১৯৮৯ সালে St. Martin তার Handbook এ লেখেন:

Remember to avoid using masculine pronoun to refer to antecedents that include or may include both males and females. For example, the sentence Every attorney values his client’s testimony implies that only men are attorneys. Such a sentence can be revised in several ways: by eliminating the pronoun, by using both masculine and feminine pronouns, or by shifting to the plural.

তিনি he or she কে মেনে নিচ্ছেন। ভালো। কিন্তু ননবাইনারী মানুষদের ক্ষেত্রে কি হবে, যারা নিজেদেরকে ‘পুরুষ’ ও ‘নারী’ – এই ক্যাটাগরীর মধ্যে ফেলেন না, যারা he বা she সর্বনামে পরিচিত হতে চান না? অথবা যদি আমরা কোন মানুষের লিঙ্গপরিচয় গোপন রাখতে চাই তাহলে সিংগুলার they ছাড়া উপায় কি? এই ব্যাকরণবিদের সিংগুলার they ব্যবহার করার কথা বলতে বাধছে, বোঝা যায়। “Everyone had their own theory about Marcia’s resignation.” – বাক্যটির সিংগুলার they নিয়ে তিনি মন্তব্য করেন:

You will probably hear- and perhaps use- such sentences in conversation, but you should be careful about using them in writing. Although this usage is now gaining some acceptance, it is probably a good idea to talk to your instructor to see what he or she advises before using it in academic work.

এই একই বই তার Annotated Instructor’s Edition এ সাহিত্য ঘেঁটে বিভিন্ন শতকে সিংগুলার they র উদাহরণ দেয়:

Everybody to rest themselves take. – Shakespeare

Everyone in the house were in their bed. – Henry Fielding

A person can’t help their birth. – William Thackeray

It’s enough to drive anyone out of their senses. – George Bernard Shaw

Anybody is as their land and air is. – Gertrude Stein

ভাষা মানুষের সম্পত্তি। মানুষ ভাষা বানায়, প্রয়োজনে পাল্টায়। ব্যাকরণ লেখকদের কাজ ঐ পরিবর্তনগুলোকে সাজিয়ে পেশ করা। কিন্তু প্রেস্ক্রিপটিভ গ্রামার লেখকরা মানুষকে ভাষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্তগুলো থেকে এক প্রকার বহিষ্কারই করে দিয়েছে। প্রেস্ক্রিপটিভ গ্রামার চলে গেছে, ডেসক্রিপটিভ গ্রামার এর জায়গা নিয়েছে। ভাষায় মানুষের সিদ্ধান্তের পূনপ্রতিষ্ঠা হয়েছে। যদিও অক্সফোর্ড ডিকশনারী দেখাচ্ছে চোদ্দশ সালেও ইংরেজি ভাষায় সিংগুলার they ব্যবহৃত হয়েছে। শুধু সাহিত্যে নয়, অন্যসব লেখা ও কথায়ও ছিলো ও আছে। কিন্তু ব্যাকরণ লেখকদের সংকোচ আর কাটে না। চর্চায় আছে কিন্তু সিংগুলার they কে ব্যাকরণগতভাবে প্রতিষ্ঠা দেওয়া যাচ্ছে না।

গত দুশো বছর অনেক বানানো থার্ড পারসন সিঙ্গুলারে লিংঙ্গ নিরপেক্ষ সর্বনাম প্রস্তাব করা হয়েছে। Ne, Ve, Ze, Xe, E, Fae ইত্যাদি।  তাদের কোনোটারই জনপ্রিয়তা সিংগুলার they এর মত নয়। জেন্ডার সেনসাস ২০১৯ এর রিপোর্ট দেখা যাকঃ

এখন ননবাইনারীরাও এর মাধ্যমে পরিচিত হতে চাচ্ছে। এলজিবিটি কমিউনিটিতে অনেক দিন ধরেই সিংগুলার they ব্যবহৃত হচ্ছে।  আশার কথা হচ্ছে, অক্সফোর্ড ডিকশনারী ১৯৯৮ সালে সিংগুলার they কে ‘একসেপ্ট’ করেছে।   Chicago Manual of Style  সিংগুলার they কে মেনে নিয়েছে। মিরিয়াম ওয়েবস্টার they কে ২০১৯ সালের ওয়ার্ড অব দ্যা ইয়ার ঘোষণা করেছে। আমরাও চাই, ব্যাকরণ বইয়ের মাস্তানী কমুক।

they নিয়ে ব্যাকরণ রচয়িতাদের তিনশ বছরের নাটকের যবনিকা পাত হোক। ভাষায় মানুষের নিয়ন্ত্রন ও বাসনা প্রতিষ্ঠা পাক।

দ্বৈপায়ন আজাদ লোকায়ত বিদ্যালয়ের একজন সদস্য।



Categories: সংস্কৃতি-রাজনীতি

Leave a Reply

Please log in using one of these methods to post your comment:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Twitter picture

You are commenting using your Twitter account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s

%d bloggers like this: